কন্যার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে কী ভাবে প্রতি পদক্ষেপে ‘টাকার খেলা’ চলেছে, তারই বর্ণনা দিলেন রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থার এক প্রাক্তন কর্তা। তিনি অভিযোগ তুললেন কী ভাবে কন্যার মৃত্যুর পর থেকে শেষকৃত্য পর্যন্ত প্রতিটি ক্ষেত্রে তাঁকে টাকা দিতে বাধ্য করা হয়েছে। আর এর জন্য স্থানীয় প্রশাসনের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন তিনি।
ভারত পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন লিমিটেড-এর চিফ ফিনান্সিয়াল অফিসার (সিএফও) ছিলেন অভিযোগকারী কে শিবকুমার। সমাজমাধ্যমে তিনি গোটা ঘটনাটি বর্ণনা করেছেন। কী ভাবে দুর্নীতির শিকার হতে হয়েছে তাঁকে। শিবকুমারের কন্যা অক্ষয়ার মৃত্যু হয় মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে। শিবকুমারের অভিযোগ, অ্যাম্বুল্যান্স থেকে শুরু করে পুলিশ এমনকি শেষকৃত্যের জন্য শ্মশানঘাটেও তাঁকে ঘুষ দিতে বাধ্য করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় নথিপত্রের জন্যও তাঁকে দুর্নীতির শিকার হতে হয়েছে বলে অভিযোগ বিপিসিএলের ওই প্রাক্তন কর্তার।
শিবকুমার দাবি করেন, ‘‘সম্প্রতি আমার কন্যার মৃত্যু হয়েছে। পুলিশে এফআইআর, ময়নাতদন্ত, অ্যাম্বুল্যান্স, শ্মশানঘাট এমনকি মৃত্যুর শংসাপত্রের জন্য আমার কাছে ঘুষ চাওয়া হয়েছে।’’ এফআইআর এবং ময়নাতদন্তের রিপোর্টের জন্য পুলিশ তাঁর কাছে সরাসরি ঘুষ চেয়েছে। তাঁদের দাবিমতো থানায় বসে সেই টাকাও দিয়েছেন বলে দাবি ওই কর্তার। তাঁর কথায়, ‘‘কন্যার শেষকৃত্যের জন্য এক জন শোকসন্তপ্ত পিতার আর কোনও উপায় ছিল না।’’
শিবকুমারের আরও দাবি, কন্যার দেহ এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুল্যান্স তিন হাজার টাকা চায়। পুলিশ আধিকারিকদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। সমাজমাধ্যমে শিবকুমারের এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তৎপর হয় পুলিশের শীর্ষমহল। এক সাব-ইনস্পেক্টর এবং এক কনস্টেবলকে সাসপেন্ড করা হয়।