প্রতি দিন এবং প্রতি মুহূর্তে প্রতারণার নতুন নতুন কৌশল বার করছে সাইবার অপরাধীরা। আর সেই ফাঁদে পড়ে অনেকে তাঁদের সঞ্চয়ের বেশির ভাগ অর্থ খোয়াচ্ছেন। এ বার একটি নতুন প্রতারণার ঘটনা প্রকাশ্যে এল। ‘প্রেগন্যান্ট জব’ বিজ্ঞাপনের ফাঁদে পড়ে মহারাষ্ট্রের পুণের এক ঠিকাদার লক্ষ লক্ষ টাকা খোয়ালেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, সম্প্রতি মোবাইলে একটি বিজ্ঞাপন দেখেছিলেন ওই ঠিকাদার। তাঁর দাবি, একটি বিজ্ঞাপনী ভিডিয়োয় এক মহিলা হিন্দিতে বলেন, ‘‘আমাকে অন্তঃসত্ত্বা করতে পারলে সেই পুরুষকে ২৫ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে। সেই ব্যক্তি শিক্ষিত হোক বা না হোক, জাত, ধর্ম, রং কোনও কিছুই এই কাজে বাধা হবে না।’’ ঠিকাদারের দাবি, ভিডিয়োটি দেখার পরই সেখানে দেওয়া নম্বরে ফোন করেন। এক ব্যক্তি ফোন ধরেন। তিনি নিজেকে ‘প্রেগন্যান্ট জব’ সংস্থার এক কর্মী হিসাবে পরিচয় দেন।
ঠিকাদার আরও জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তি তাঁকে বলেন, ‘প্রেগন্যান্ট জব’-এর জন্য নাম নথিভুক্ত করাতে হবে। তার পর তাঁকে একটি পরিচয়পত্র দেওয়া হবে। ওই ব্যক্তির কথামতো নাম নথিভুক্ত করাতে রাজি হয়ে যান ঠিকাদার। অভিযোগ, তার পর থেকেই ঠিকাদারের কাছে ফোন আসতে শুরু করে। তাঁর কাছে কখনও রেজিস্ট্রেশন, কখনও পরিচয়পত্র, জিএসটি, টিডিএস, তথ্যযাচাই, প্রসেসিং-সহ বেশ কয়েকটি বিষয়ের জন্য বেশ কয়েক দফায় টাকা চাওয়া হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ঠিকাদারের আগ্রহকে কাজে লাগিয়ে তাঁকে নানা রকম প্রস্তাবের প্রলোভন দেখিয়ে ক্রমে প্রতারণার জালে ফাঁসাতে শুরু করে প্রতারকেরা। এ ভাবে ১০০ দফায় মোট ১১ লক্ষ টাকা ইউপিআই এবং আইএমপিএস পদ্ধতির মাধ্যমে লেনদেন করেন ঠিকাদার। তার পরই ঠিকাদারকে ব্লক করে দেয় প্রতারকেরা। ঠিকাদার যখন উপলব্ধি করেন তিনি সাইবার অপরাধীদের খপ্পরে পড়েছেন, তখন তিনি পুলিশের দ্বারস্থ হন। একটি অভিযোগ দায়ের করেন ঠিকাদার।