স্ত্রীকে ধর্ষণ ও খুনের মিথ্যা অভিযোগ ১১ বছর ধরে মাথায় নিয়ে ঘুরছিলেন স্বামী! শুরুতে জেল খাটলেও পরে প্রমাণের অভাবে ছাড়া পেয়ে যান। এত বছর পর সেই মামলাতেই প্রকৃত অভিযুক্তদের গ্রেফতার করল পুলিশ। সম্প্রতি বেঙ্গালুরুতে ঘটনাটি ঘটেছে। বেকসুর খালাস পেয়েছেন নিহত মহিলার স্বামী।
আরও পড়ুন:
২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে কর্মক্ষেত্র থেকে ফেরার সময় নিখোঁজ হয়ে যান যুবকের স্ত্রী। থানায় স্ত্রীর নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগও দায়ের করেছিলেন স্বামী। তিন দিন পর বেঙ্গালুরু-দোদ্দাবল্লপুর হাইওয়ের পাশে তাঁর স্ত্রীর দেহ মেলে। জানা যায়, ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে ওই মহিলাকে। তদন্তে নামে পুলিশ। কিন্তু তিন বছর পেরিয়ে গেলেও ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় কোনও কিনারা না করতে পেরে শেষমেশ ২০১৫ সালের মে মাসে মহিলার স্বামীকেই গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযোগ তোলা হয়, বাড়িতে স্ত্রীকে খুনের পর হাইওয়ের ধারে দেহ ফেলে এসেছেন তিনি। ওই ঘটনায় জেল হয় স্বামীর। কিন্তু তিন মাস যেতে না যেতেই তিনি প্রমাণের অভাবে ছাড়া পেয়ে যান। মামলাটি ওখানেই বন্ধ করে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন:
এর পর ২০১৫ সালেই কর্নাটক হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন ওই যুবক। ভুল তদন্তের ভিত্তিতে গ্রেফতার এবং হয়রানির জন্য পুলিশের বিরুদ্ধে তদন্ত চেয়ে আদালতে মামলা করেন তিনি। ফের খোলা হয় কেসের ফাইল। আদালতের নির্দেশে এ বার মামলার দায়ভার যায় সিআইডি-র হাতে। এর পর গত বছর ওই মামলায় এক দশক পুরনো কল রেকর্ড, ফোন এবং মোবাইলের টাওয়ারের অবস্থান খতিয়ে দেখে তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। জানা যায়, স্বামী নয়, বরং স্বামীর এক সহকর্মীই মহিলার ধর্ষণ-খুনের মূল চক্রী! ঘটনার দিন বেশ কিছু ক্ষণ হাইওয়ের পাশে ঘোরাঘুরিও করেছিলেন তিনি। ওই ব্যক্তির পাশাপাশি তাঁর আরও দুই সহযোগীর খোঁজ পান তদন্তকারীরা। ধর্ষণ-খুনের ১১ বছর পর তিন জনকেই গ্রেফতার করা হয়। সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস সূত্রে খবর, গত বছরই ওই মামলায় ৮৪ জন সাক্ষীর বয়ানের ভিত্তিতে ১,২৭৭ পৃষ্ঠার চার্জশিট জমা দিয়েছে সিআইডি। তদন্তকারী এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, মামলাটি এখনও বিচারাধীন। তবে শীঘ্রই ধৃতেরা দোষী সাব্যস্ত হবেন বলে তাঁর বিশ্বাস।