Advertisement
E-Paper

বাবার শেষকৃত্য করবে কে? ভাইয়ের সঙ্গে বচসার জেরে বাবার দেহের অর্ধেক ভাগ চাইলেন দাদা!

দেশরাজের দাবি, বাবার শেষ ইচ্ছা ছিল ছোট ছেলেই তাঁর সৎকার করুক। কিন্তু নাছোড়বান্দা কিসান তা মানতে রাজি ছিলেন না। এক পর্যায়ে কিসান বাবার দেহ কেটে অর্ধেক অর্ধেক ভাগ দুই ভাইয়ের মধ্যে ভাগ বাঁটোয়ারা করার কথা বলেন!

— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৬:৪১
Share
Save

বাবার শেষকৃত্য করবে কে? তা নিয়ে জোর বচসা চলছিল দুই ভাইয়ের। শেষমেশ বাবার দেহ কেটে অর্ধেক করে সৎকারের দাবি তুললেন দাদা! রবিবার মধ্যপ্রদেশের টিকামগড় জেলায় ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশের হস্তক্ষেপে কোনও মতে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া গিয়েছে বলে সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর। তবে খবর প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। খবর শুনে হেসে গড়িয়েও পড়ছেন কেউ কেউ!

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার টিকামগড় জেলা সদর থেকে প্রায় ৪৫ কিলোমিটার দূরে লিধোরতাল গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। দীর্ঘ দিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন লিধোরতালের বাসিন্দা ধ্যানীসিংহ ঘোষ (৮৪)। ছোট ছেলে দেশরাজের সঙ্গে থাকতেন তিনি। বড় ছেলে কিসান থাকতেন গ্রামের বাইরে। রবিবার ধ্যানীর মৃত্যু হয়। বাবার মৃত্যুর খবর পেয়ে গ্রামে ফিরে আসেন কিসান। এর পরেই কে বাবার দেহ সৎকার করবেন, তা নিয়ে বচসা শুরু হয়ে যায় দুই ভাইয়ের। দেশরাজের দাবি, বাবার শেষ ইচ্ছে ছিল ছোট ছেলেই তাঁর সৎকার করুক। কিন্তু নাছোড়বান্দা কিসান তা মানতে রাজি ছিলেন না। এক পর্যায়ে কিসান বাবার দেহ কেটে অর্ধেক অর্ধেক ভাগ দুই ভাইয়ের মধ্যে ভাগ বাঁটোয়ারা করার কথা বলেন! তখনই হাতাহাতি শুরু হয়ে যায় দুই ভাইয়ের।

জাটারা থানার আধিকারিক অরবিন্দ সিংহ ডাঙ্গি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘বাবার দেহ সৎকার করা নিয়ে ভাইয়ে ভাইয়ে বিরোধ চরমে পৌঁছলে গ্রামবাসীরাই পুলিশে খবর দেন। শেষে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে।’’ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সে সময় কিসান মত্ত অবস্থায় ছিলেন। কোনও মতে তাঁকে বুঝিয়ে শান্ত করে পুলিশ। শেষমেশ ছোট ছেলে দেশরাজই বাবার দেহ সৎকার করেছেন।

Madhya Pradesh cremation last rites father

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}