আট বছরের সৎমেয়েকে খুনের পর দেহ পুড়িয়ে দিলেন মা! তার পর প্রমাণ লোপাট করতে বস্তায় ভরে দেহ লুকিয়ে রাখলেন বাড়িতেই! প্রথমে পরিকল্পনা ছিল, সুযোগ পেলে মেয়ের দেহাবশেষ কোথাও ফেলে আসবেন। কিন্তু তার আগেই ধরা পড়ে গেলেন পুলিশের হাতে। রবিবার বিহারের বক্সার জেলায় ঘটনাটি ঘটেছে।
আরও পড়ুন:
সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, নিহত বালিকার নাম আঁচল কুমারী (৮)। ওই পরিবার বক্সার জেলার ডুমরাঁও থানার শেষ প্রান্তের গ্রাম নয়া ভোজপুরের বাসিন্দা। মায়ের মৃত্যুর পর ফের বিয়ে করেছিলেন তার বাবা। সেই থেকে সৎমায়ের সঙ্গে গ্রামের বাড়িতেই থাকত আঁচল। বাবা কাজের সূত্রে থাকতেন দিল্লিতে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাত থেকেই নিখোঁজ ছিল ওই বালিকা। শনিবার পরিবারের তরফে স্থানীয় থানায় তার নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগও দায়ের করা হয়। সেই মতো তদন্তে নামে পুলিশ। পরে নিজের বাড়িতেই একটি বস্তার মধ্যে নানা আবর্জনার পাশাপাশি আঁচলের দগ্ধ দেহ মেলে।
আরও পড়ুন:
বক্সারের পুলিশ সুপার শুভম আর্য পিটিআইকে জানিয়েছেন, তদন্তে নেমে রবিবার নিজের বাড়ি থেকেই নিখোঁজ বালিকার দেহ উদ্ধার হয়েছে। বাড়ির একটি ঘরে একটি কাঠের বাক্সের ভিতর থেকে নানা আবর্জনার সঙ্গে বালিকার বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধার হয়। এর পরেই বালিকার সৎ মাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জেরার মুখে মেয়েকে খুনের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন সৎমা। শনিবার মেয়েকে শ্বাসরোধ করে খুনের পর দেহটি পুড়িয়ে দেন তিনি। এর পর মেয়ের দগ্ধ দেহাবশেষ একটি বস্তায় ভরে ঘরেই কাঠের বাক্সে লুকিয়ে রাখেন। পরিকল্পনা ছিল, পরে কোনও এক সময় সুযোগ বুঝে দেহটি কোথাও ফেলে আসার। কিন্তু তার আগেই দেহটির সন্ধান পেয়ে যায় পুলিশ। ওই মহিলাকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। নিহত বালিকার দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। কেন মেয়েকে খুন করলেন সৎমা, জানতে শুরু হয়েছে তদন্ত।