বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন স্ত্রী। এমনটাই সন্দেহ ছিল স্বামীর। শেষমেশ সন্দেহের বশে স্ত্রীর মাথা কেটে ফেললেন স্বামী। তার পর কাটা মুন্ডু হাতে সোজা থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করলেন। হাড়হিম করা ঘটনাটি ঘটেছে বেঙ্গালুরুর আনেকালে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম শঙ্কর। অভিযোগ, শুক্রবার রাতে নিজের হাতে স্ত্রীকে খুন করেছেন ২৮ বছর বয়সি ওই যুবক। স্থানীয় সূত্রে খবর, বেশ কয়েক বছর আগে শঙ্করের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল ২৬ বছর বয়সি মনসার। কিছু দিন আগে তাঁরা হিলালিগে গ্রামে একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতে শুরু করেন। ওই দম্পতির এক সন্তানও রয়েছে। সম্প্রতি শঙ্করের সন্দেহ হয়, তাঁর স্ত্রী বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন। গত ৩ জুন রাতে, শঙ্কর কাজে বেরিয়ে যান। মনসাকে জানান, তিনি পর দিন সকালে ফিরে আসবেন। কিন্তু কাজ শেষ করে সেই রাতেই ফিরে আসেন তিনি। অভিযোগ, ঘরে ফিরে শঙ্কর দেখেন, তাঁর স্ত্রী অন্য এক পুরুষের সঙ্গে রয়েছেন। এর পরেই বচসা শুরু হয় দম্পতির। শেষমেশ রাগের মাথায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান মনসা।
আরও পড়ুন:
পরের দিন মনসা বাড়িতে ফিরে আসেন। সে দিনও বাগ্বিতণ্ডা হয় দম্পতির। পর পর কয়েক দিন ধরে এমনই চলতে থাকে। শুক্রবার রাতে ঝগড়া চরমে পৌঁছোয়। অভিযোগ, একটা পর্যায়ে ধারালো অস্ত্রের কোপে স্ত্রীর মাথা কেটে ফেলেন শঙ্কর। তার পর মনসার কাটা মুন্ডু নিয়ে সূর্যনগর থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। বেঙ্গালুরুর পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) সিকে বাবার কথায়, ‘‘শুক্রবার রাতে দম্পতির মধ্যে ঝগড়া হয়েছিল। ঝগড়ার সময় স্বামী তাঁর স্ত্রীকে মারধর করতে শুরু করেন। শেষমেশ নৃশংস ভাবে তাঁকে হত্যা করেন। তার পর স্ত্রীর কাটা মাথা থানায় নিয়ে এসে নিজমুখে অপরাধ স্বীকার করেন ওই যুবক। আমরা তাঁর বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করেছি।’’ খবর পেয়ে সেই রাতেই ঘটনাস্থলে ছুটে যায় সূর্যনগর থানার পুলিশ। মহিলার মুণ্ডহীন দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে। শঙ্করকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তদন্তকারীরা।