অভিযুক্ত অমৃতা চন্দ্রশেখর। ছবি টুইটার থেকে নেওয়া।
মাকে খুন করেছিলেন ছুরির আঘাতে। ভাইয়ের মাথায় রডের বাড়ি। এর পর তাঁদের বাড়িতে ফেলে রেখেই ঠান্ডা মাথায় বন্ধুর সঙ্গে চেপে বসেছিলেন আন্দামানগামী বিমানে। পুলিশ ওই তরুণী ও তাঁর পুরুষসঙ্গীকে গ্রেফতার করেছে। কিন্তু অপরাধের এমন নজির দেখে চোখ কপালে উঠেছে তদন্তকারীদের।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত বছর তেত্রিশের অমৃতা চন্দ্রশেখর এক জন তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী। তিনি বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা। তাঁর ভাই হরিশ দাবি করেছেন, অমৃতা বাড়িতে জানিয়েছিলেন, তাঁকে হায়দরাবাদে বদলি করে দেওয়া হয়েছে। তাই তাঁকে চলে যেতে হবে। এর পর গত সোমবার ভোর ৪টে নাগাদ তিনি তাঁর দিদিকে নিজের জামা কাপড় গোছগাছ করতে দেখেন। হরিশের দাবি, তিনি সাহায্য করতে চাইলেও রাজি হননি অমৃতা। হরিশের অভিযোগ, এর পরই তাঁর উপর একটি রড নিয়ে চড়াও হন অমৃতা। হরিশ চিৎকার করলে ছুটে আসেন তাঁদের মা-ও। সেই মুহূর্তে ভাইকে ছেড়ে, একটি ছুরি হাতে মায়ের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন অমৃতা। ছুরির আঘাতে ক্ষতবিক্ষত হয়ে যান তিনি। এর পর তাঁদেরকে গুরুতর জখম অবস্থায় ফেলে রেখেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান অমৃতা।
হরিশ আরও জানিয়েছেন, অমৃতার বন্ধু শ্রীধর রাও মোটর সাইকেল নিয়ে অপেক্ষায় ছিলেন। সেই গাড়িতে চড়েই চম্পট দেন তাঁরা। হরিশ জখম অবস্থাতেই আত্মীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তবে শেষ পর্যন্ত মা-কে বাঁচাতে পারেননি তিনি।
আরও পড়ুন: বিভাজনের সময় এ দেশে থেকে গিয়ে মুসলিমরা দয়া করেননি, বললেন আদিত্যনাথ
আরও পড়ুন: ‘কিছু টিউবলাইট এমনই’, রাহুলকে পাল্টা কটাক্ষ মোদীর
খবর পেয়ে তদন্তে নামে পুলিশ। অমৃতা ও তাঁর পুরুষসঙ্গী শ্রীধরের খোঁজ পেয়ে পোর্টব্লেয়ার যায় পুলিশের একটি দল। সেখান থেকে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, ‘‘আমরা এই ঘটনার তদন্ত করছি। এই খুনের উদ্দেশ্য কী তা এখনও আমাদের কাছে পরিষ্কার নয়।’’ তবে তদন্তকারীরা মনে করছেন, অমৃতার পরিবার ঋণে ডুবে রয়েছে। তার জেরেই তাঁর মধ্যে হতাশা তৈরি হয়েছিল। এই ঘটনায় অমৃতার সঙ্গী শ্রীধরের কী ভূমিকা রয়েছে তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy