Advertisement
E-Paper

শেয়ারে বিনিয়োগ করে সর্বস্বান্ত, স্ত্রী-কন্যাদের খুন করে দেহ আগলে রেখে চরম পথ নিলেন যুবক

দেনার দায়ে জর্জরিত হওয়ার জেরে পরিবারের তরফেও চাপের মুখে পড়েছিলেন ৩১ বছরের বীরার্জুনা বিজয়। আর্থিক দুরবস্থার জেরেই হয়তো চরম পথ বেছে নেন তিনি। যদিও তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৭ অগস্ট ২০২৩ ১৮:৪১
Representational Image of dead dody

—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করে সর্বস্বান্ত হয়ে গিয়েছিলেন। আর্থিক দুরবস্থা কাটাতে প্রথমে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুন করেন। এর পর একে একে শেষ করে দেন দুই কন্যাসন্তানকেও। তিন দিন ধরে তাঁদের দেহ আগলে রেখে শেষমেশ আত্মঘাতী হন। বেঙ্গালুরুর এক তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীর বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ উঠেছে।

পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার বেঙ্গালুরুর কোডুগোডী থানায় এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে ৩১ বছরের বীরার্জুনা বিজয় এবং তাঁর স্ত্রী-সন্তানদের দেহ মিলেছে। দেহগুলি উদ্ধারকাজের সময় বিজয়ের স্ত্রী হেমাবতী (২৯)-র দেহে পচন ধরে গিয়েছিল।

সংবাদমাধ্যমের কাছে তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, একটি সফ্‌টঅয়্যার সংস্থায় উচ্চপদে কাজ করার পাশাপাশি বছর কয়েক ধরে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করছেন বিজয়। তবে তাতে মুনাফার বদলে লোকসান হয় তাঁর। সে জন্য ঋণে ডুবে গিয়েছিলেন। এ নিয়ে স্ত্রী হেমাবতীর সঙ্গে প্রায়শই ঝামেলা হত বিজয়ের। দেনার দায়ে জর্জরিত হওয়ার জেরে পরিবারের তরফেও চাপের মুখে পড়েছিলেন বিজয়। আর্থিক দুরবস্থার জেরেই হয়তো চরম পথ বেছে নেন তিনি। যদিও তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

পুলিশ সূত্রে খবর, চার জনের দেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, ৩১ জুলাই প্রথমে হেমাবতীকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছিল। এর পরের দিন দম্পতির দেড় বছর এবং আট মাসের দুই শিশুকন্যাকে তোয়ালে চাপা দিয়ে খুন করা হয়। তিন দিন ধরে তাঁদের দেহ আগলে বসেছিলেন বিজয়। এর পর ২ অগস্ট সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন বলে দাবি। এই ঘটনার তদন্তে নেমে দম্পতির মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।

Crime Suicide Murders Bengaluru
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy