ঠিক ছিল, বন্ধুদের সঙ্গে পার্টিতে যাওয়া হবে। তার বদলে বছর সতেরোর এক কিশোরীকে নিয়ে যাওয়া হয় একটি লজে। দিন দশেক সেখানেই আটকে রেখে তার উপর চলে লাগাতার গণধর্ষণ। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ওই কিশোরীর বন্ধু-সহ চার জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বেঙ্গালুরুর এই ঘটনায় ফের এক বার প্রশ্নের মুখে শহরের মহিলাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
ঠিক কী হয়েছিল?
পুলিশ জানিয়েছে, গত ২৬ অক্টোবর পার্টিতে যাবে বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল ওই কিশোরী। স্থানীয় হোয়াইটফিল্ড এলাকার এক যুবকের সঙ্গে ওই কিশোরীর বন্ধুত্ব ছিল। ওই যুবকই তাকে পার্টিতে নিয়ে যাবে বলে জানায়। সেই মতো সে দিন সন্ধ্যায় হোয়াইটফিল্ড স্টেশনের কাছে অপেক্ষা করছিল সে। কিন্তু, অনেক ক্ষণ ধরে অপেক্ষার পর বন্ধুর দেখা মেলেনি। বরং রাঘবেন্দ্র ও সাগর নামে দুই যুবক সেখানে এসে হাজির হয়। তারা জানায়, পার্টিতে নিয়ে যেতে কিশোরীর বন্ধুই তাঁদের পাঠিয়েছে। এর পর সেখান থেকে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় হোয়াইটফিল্ড এলাকার একটি লজে। সেখানে হাজির ছিল তার বন্ধু এবং লজ মালিকও। সে দিন থেকে আর খোঁজ মেলেনি ওই কিশোরীর।
আরও পড়ুন
ধর্ষকদের হাত থেকে রেহাই নেই ১৮ মাসের শিশুরও
বিবাহবিচ্ছেদ চেয়ে মামলা শোভনের
ওই কিশোরীর পরিবার জানিয়েছে, রাত পার হয়ে গেলেও মেয়ে বাড়ি না ফেরায় আশপাশের এলাকায় তার খোঁজ শুরু করা হয়। এর পর গত ৩০ অক্টোবর আর কে পুরম থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন তাঁরা। ওই কিশোরীর তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গত ৪ নভেম্বর পুলিশ জানতে পারে, স্থানীয় একটি লজে এক জন কমবয়সী মেয়েকে দেখা গিয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে সেখানে উপস্থিত হয় তারা। সেখান থেকে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়। ওই লজ মালিক ছাড়াও কিশোরীর বন্ধু এবং আরও দুই যুবকের সন্ধান মেলে সেখানে। পুলিশ তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
হোয়াইটফিল্ডের ডিসিপি আব্দুল আহদ জানিয়েছেন, পুলিশের কাছে বয়ানে ওই কিশোরী জানিয়েছে, দিন দশেক ধরে তাকে ধর্ষণ করেছে তার বন্ধু-সহ লজ মালিক ও দুই যুবক। এর পর ওই চার জনকেই গ্রেফতার করে পুলিশ। ডিসিপি বলেন, “অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পকসো ছাড়াও অপহরণ-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।” আদালতে পেশ করা হলে তাদের বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy