Advertisement
E-Paper

হাদি হত্যাকাণ্ড: খুনি এবং তাঁর সহকারীকে ‘পালাতে সাহায্য করেছিলেন আওয়ামী লীগের নেতা’! গ্রেফতার আরও এক

বাংলাদেশে ওসমান হাদিকে খুনের ঘটনায় আরও দুই সন্দেহভাজনকে শনাক্ত করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই দুই ব্যক্তির হাদির হত্যাকারী এবং তাঁর সহযোগীকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করেছিলেন।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৪:৩১
ওসমান হাদি।

ওসমান হাদি। —ফাইল চিত্র।

বাংলাদেশে ওসমান হাদিকে খুনের ঘটনায় আরও দুই সন্দেহভাজনকে শনাক্ত করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই দুই ব্যক্তি হাদির হত্যাকারী এবং তাঁর সহযোগীকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করেছিলেন। শনাক্ত হওয়া দু’জনের মধ্যে এক জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ওই ব্যক্তির নাম আমিনুল ইসলাম। তিনি আওয়ামী লীগের যুব সংগঠন যুবলীগের নেতা তাইজুল ইসলাম চৌধুরী (বাপ্পী)-র ভগ্নিপতি। তদন্তকারীদের সূত্র উদ্ধৃত করে ‘প্রথম আলো’ জানিয়েছে, আমিনুলকে তাইজুলই চালনা করেছিলেন। প্রতিবেদন অনুসারে, হাদি হত্যার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ এবং র‍্যাব।

প্রতিবেদনে উল্লিখিত সূত্রের দাবি অনুসারে, হাদির খুনি ফয়সাল এবং তাঁকে যিনি বাইকে চালিয়ে নিয়ে যাওয়া আলমগীর হত্যাকাণ্ডের পর ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যান। তাঁদের সীমান্ত পার করিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে তাইজুল এবং আমিনুলই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন বলে ওই সূত্রের দাবি। পুলিশ সূত্রে খবর, তাইজুল ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও মিরপুর এলাকার প্রাক্তন ওয়ার্ড কাউন্সিলর।

তদন্তকারীদের সূত্র মারফত যাই জানা যাক, কয়েক দিন আগেই বাংলাদেশের গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান প্রধান মহম্মদ শফিকুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, অভিবাসন সংক্রান্ত নথিতে হাদি হত্যাকাণ্ডে জড়িত দু’জনের দেশছাড়ার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। বিবিসি বাংলাকে তিনি জানান, হত্যাকারী এবং তাঁর সহযোগী ভারতে পালিয়ে এসেছেন কি না, সে বিষয়ে পুলিশ এখনও নিশ্চিত নয়। তবে অভিযুক্ত দু’জনের পাসপোর্টই ব্লক করে দেওয়া হয়েছে।

গত ১২ ডিসেম্বর ঢাকায় গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন হাদি। তাঁকে সরকারি উদ্যোগে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সিঙ্গাপুরে। ছ’দিন টানা লড়াইয়ের পর সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। এর পরেই বাংলাদেশ জুড়ে নতুন করে অশান্তি শুরু হয়েছে। হাদির স্মৃতির উদ্দেশে শনিবার রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছিল ঢাকা। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের পাশেই হাদিকে সমাধিস্থ করা হয়েছে। সেখান থেকে ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যেরা পুলিশকে ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেন। আট দিনেও কেন হাদির হত্যাকারীদের ধরা গেল না, প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। রবিবার সন্ধ্যার মধ্যে এই সংক্রান্ত খবর না পেলে দেশের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগও দাবি করে ইনকিলাব মঞ্চ।

হাদির হত্যাকাণ্ডে এখনও পর্যন্ত যাঁদের গ্রেফতার করেছে বাংলাদেশের পুলিশ, তাঁদের মধ্যে মূল অভিযুক্ত ফয়সালের পরিবারের সদস্যেরাও রয়েছেন। তাঁর স্ত্রী, শ্যালক, মা, বাবা এবং এক বান্ধবীকে জেরা চলছে। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, হাদিকে গুলি করার আগে স্ত্রী এবং বান্ধবীর সঙ্গে ফয়সাল একাধিক বার ফোনে কথা বলেছিলেন। সে বিষয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

Osman Hadi Bangladesh awami league
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy