দ্রুত টিকা তৈরির জন্য অনুদান চেয়েছে সিরাম ইনস্টিটিউট ও ভারত বায়োটেক। প্রতীকী চিত্র
ভারতে গত ১৬ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে কোভিড টিকাকরণ। ইতিমধ্যেই ৬ কোটির বেশি মানুষকে টিকা দেওয়া হয়ে গিয়েছে। কিন্তু তার মধ্যেই দেশে নতুন করে বাড়তে শুরু করেছে সংক্রমণ। এই অবস্থায় টিকাকরণ আরও বাড়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। আর টিকাকরণ বাড়াতে গেলে দ্রুত অনেক বেশি টিকা তৈরি করতেও হবে। সেই কাজের জন্যই কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে ১০০ কোটি টাকা অনুদান চাইল ভারতের দুই টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থা সিরাম ইনস্টিটিউট ও ভারত বায়োটেক।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্র খবর, কেন্দ্রের কাছে অনুদানের জন্য চিঠি দিয়েছে ভারত বায়োটেক। অন্য দিকে, সিরাম ইনস্টিটিউট মৌখিক আবেদন করেছে বলে খবর। কেন্দ্রের ‘কোভিড সুরক্ষা প্রকল্প’-র আওতায় এই অনুদান চাওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এই মুহূর্তে হায়দরাবাদের কারখানায় প্রতি মাসে ৪০ লক্ষ কোভ্যাক্সিন টিকা তৈরি করছে ভারত বায়োটেক। অন্য দিকে, ২০২১ সালের মার্চ মাসের মধ্যে ১০ কোটি কোভিশিল্ড টিকা তৈরি করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে সিরাম ইনস্টিটিউট।
কেন্দ্রীয় জৈবপ্রযুক্তি দফতরের সচিব রেণু স্বরূপ জানিয়েছেন, ‘কোভিড সুরক্ষা প্রকল্প’-র আওতায় যে কোনও রকমের সাহায্য করতে কেন্দ্র প্রস্তুত। ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে ‘কোভিড সুরক্ষা মিশন’ চালু করে কেন্দ্র। টিকা সংক্রান্ত গবেষণার কাজে সাহায্যের জন্যই এই প্রকল্প তৈরি করা হয়েছে।
ভারতে এই মুহূর্তে কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিন, এই দু’টি টিকা দেওয়া হচ্ছে। প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে স্বাস্থ্যকর্মী ও কোভিড যোদ্ধাদের টিকা দেওয়ার পরে তৃতীয় পর্যায়ে ৬০ বছরের বেশি বয়সি ও ৪৫ থেকে ৬০ বছর বয়সি যাঁদের কো-মর্বিডিটি রয়েছে, তাঁদের টিকা দেওয়া হয়েছে। তবে ১ এপ্রিল থেকে ৪৫ বছরের বেশি বয়সি সবাইকে টিকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। এই অবস্থায় বেশি সংখ্যায় টিকা তৈরি করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। আর সেই কারণেই কেন্দ্রের কাছে দুই টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থা অনুদান চেয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy