Advertisement
০২ মে ২০২৪
National News

তাইল্যান্ডে কাজে গিয়ে দুর্ঘটনায় মৃত্যু, ভোপালের তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীর দেহ দেশে ফেরাতে তৎপর প্রশাসন

শেষ পর্যন্ত স্থানীয় বিধায়ক অলোক চতুর্বেদীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন প্রজ্ঞার পরিবারের সদস্যরা। তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথকে জানান। পাশাপাশি বিদেশ মন্ত্রকের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়।

মৃত তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী। ছবি: প্রজ্ঞা পালিওয়ালের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে

মৃত তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী। ছবি: প্রজ্ঞা পালিওয়ালের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে

সংবাদ সংস্থা
ভোপাল শেষ আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০১৯ ০৮:৪১
Share: Save:

তাইল্যান্ডে গিয়েছিলেন কনফারেন্সে যোগ দিতে। কিন্তু সেখানেই পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল প্রজ্ঞা পালিওয়াল (২৯) নামে এক ভারতীয় মহিলা তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীর। কিন্তু এই শোকের মধ্যেও ভোপালের ওই পরিবারের সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তা হয়ে দাঁড়িয়েছে মৃতদেহ দেশে ফেরানো। কারণ, বাড়ির আর কারও পাসপোর্ট নেই। তবে বিদেশমন্ত্রক, মধ্যপ্রদেশ সরকার এবং স্থানীয় প্রশাসন সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে। মৃতদেহ দেশে আনতে তৎপরতার সঙ্গে কাজ করছেন তাইল্যান্ডের ভারতীয় দূতাবাসের কর্মী-আধিকারিকরাও।

মধ্যপ্রদেশের ছতরপুর জেলায় বাড়ি হলেও তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় কাজ করার সূত্রে প্রজ্ঞা বেঙ্গালুরুতে থাকতেন। হংকং-এর একটি সংস্থার কনফারেন্সে যোগ দিতে কয়েক দিন আগেই তাইল্যান্ডের ফুকেটে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে গাড়ি দুর্ঘটনায় তাঁর মৃত্যু হয়। বুধবার প্রথম বাড়িতে এই খবর দেন বেঙ্গালুরুতে যে মেসে প্রজ্ঞা থাকতেন, সেখানকার রুমমেট। তার পর থেকেই ভোপালের বাড়িতে শোক আর উদ্বেগ। বাড়ির কারও পাসপোর্ট না থাকায় কী ভাবে মেয়ের দেহ আনবেন, সে নিয়ে শুরু হয় তৎপরতা।

শেষ পর্যন্ত স্থানীয় বিধায়ক অলোক চতুর্বেদীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন প্রজ্ঞার পরিবারের সদস্যরা। তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথকে জানান। পাশাপাশি বিদেশ মন্ত্রকের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়। বিধায়ক বলেন, “প্রজ্ঞার এক বন্ধু বাড়িতে মৃত্যুর খবর পাঠায়। ওঁর বন্ধু এও জানিয়েছে যে, ফুকেটের প্যাটং হাসপাতালে মৃতদেহ রাখা রয়েছে।”

আরও পডু়ন: মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিমানের ধাঁচেই তৈরি হচ্ছে নরেন্দ্র মোদীর বিমান, বিপুল খরচে উঠছে প্রশ্ন

আরও পড়ুন: জিয়াগঞ্জ হত্যাকাণ্ড নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ রাজ্যপালের, কড়া বিবৃতি রাজভবনের, পাল্টা আক্রমণে পার্থ

বিধায়কের পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী এবং ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। কমল নাথ টুইট করে জানিয়েছেন, ওই পরিবার ফুকেটে যেতে চাইলে তার সব রকম চেষ্টা করা হবে। পাশাপাশি পরিবারের পাশে থাকার বার্তাও দিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। স্থানীয় প্রশাসনও চেষ্টা করছে যাতে দ্রুত প্রজ্ঞার বাড়ির লোকজনের পাসপোর্ট তৈরি করে ফেলা যায়।

বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও জানিয়েছেন, “ব্যাঙ্ককে ভারতীয় দূতাবাসের আধিকারিকরা শোকাহত পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। এই দুঃসময়ে সব রকম সাহায্য করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE