Advertisement
১১ মে ২০২৪
হিংসা নিয়ে তির তৃণমূলকে
BJP

বঙ্গে বিজেপির শক্তি বেড়েছে, দাবি ভূপেন্দ্রের

রাজ্যে নির্বাচনের পর থেকেই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা একাধিক বিজেপি কর্মীকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ দলের।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৭ জুন ২০২১ ০৬:৫২
Share: Save:

বিধানসভা নির্বাচনে পরাজয় হলেও পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির শক্তিবৃদ্ধি হয়েছে বলে আজ দাবি করলেন বিজেপির রাজ্যসভা সাংসদ ভূপেন্দ্র যাদব। উত্তরপ্রদেশ-সহ একাধিক রাজ্যের নির্বাচনের প্রস্তুতি, করোনার দ্বিতীয় ধাক্কায় দলের হৃত ভাবমূর্তি উদ্ধার ও পশ্চিমবঙ্গের ব্যর্থতা নিয়ে আলোচনা করতে শনি ও রবিবার দলের সাধারণ সম্পাদকদের বৈঠক ডেকেছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডা। ওই বৈঠকের শেষে পশ্চিমবঙ্গে দলের শক্তিবৃদ্ধি ও নির্বাচনের পরে হওয়া রাজনৈতিক হিংসা নিয়ে সরব হন ভূপেন্দ্র। পরে জেপি নড্ডার নেতৃত্বে সাধারণ সম্পাদকেরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করে ফের এক প্রস্থ বৈঠক করেন।

রাজ্যে নির্বাচনের পর থেকেই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা একাধিক বিজেপি কর্মীকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ দলের। অভিযোগ, প্রশাসনের মদতে হওয়া ওই হামলার কারণে বহু বিজেপি কর্মী এখনও ঘর ছাড়া। বহু সমর্থকের বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। নিগ্রহের শিকার হয়েছেন মহিলা ও শিশুরা। গত দু’দিন ধরে চলা সাধারণ সম্পাদকদের বৈঠকে আজ পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি নিয়ে বিশদে আলোচনা হয়। দলের পরাজয় কেন হল তা নিয়েও সমীক্ষা হয়েছে বৈঠকে। পরাজয়ের পিছনে মূলত অন্তর্কলহ, নেতৃত্বে ভাঙন ও বাস্তব পরিস্থিতি না বুঝে প্রচার চালানোর দিকেই অভিযোগের আঙুল উঠেছে।

বৈঠকের শেষে অমিত শাহ ঘনিষ্ঠ ভূপেন্দ্র যাদব দাবি করেন, পরাজয় হলেও পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির আগের চেয়ে ভাল ফল করেছে। রাজ্যে শক্তিবৃদ্ধি হয়েছে বিজেপির। রাজ্যের রাজনৈতিক হিংসার জন্য তৃণমূলকে দায়ী করে তিনি বলেন, ‘‘ফল ঘোষণার পর থেকেই রাজ্যে রাজনৈতিক হিংসা চালিয়ে যাচ্ছে তৃণমূল। এ দিনও রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা থেকে রাজনৈতিক হামলার খবর এসেছে।’’ তাঁর দাবি, তৃণমূল কর্মীরা মহিলাদের অসম্মান করছে, ত্রাণ পৌঁছতে বাধা দিচ্ছে। তাই দলের পক্ষ থেকে বৈঠকে তৃণমূলের ওই হিংসার নিন্দা করা হয়েছে। তিনি রাজ্যের বিজেপি কর্মীদের আশ্বাস দিয়ে জানান, বিজেপি নেতৃত্ব পশ্চিমবঙ্গের মানুষের পাশে রয়েছেন এবং আগামী দিনে রাজ্যে যাতে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরে আসে সে জন্য সব ধরনের পদক্ষেপ করতে দল প্রস্তুত। সূত্রের মতে, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে রাজ্যের হিংসার বিষয়টি নিয়ে সরব হন বিজেপি নেতারা। অবিলম্বে সেখানে হিংসা থামিয়ে নিচুতলার বিজেপি কর্মীদের পাশে দাঁড়াতে কেন্দ্রকে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ করা হয়।

করোনার দ্বিতীয় ধাক্কায় যে ভাবে মানুষ বিনা চিকিৎসায় মারা গিয়েছেন তাতে কেন্দ্রের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে জনমানসে। বছর ঘুরলেই উত্তরপ্রদেশ-সহ পাঁচ রাজ্যে নির্বাচন। এই পরিস্থিতিতে ভাবমূর্তি ফেরাতে ইতিমধ্যেই একাধিক পদক্ষেপ করেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। তা ছাড়া তৃতীয় ধাক্কার কথা মাথায় রেখে প্রায় এক লক্ষ বিজেপি কর্মীকে মাঠে নামানোর পরিকল্পনা নিয়েছে দল। বিজেপি নেতা অরুণ সিংহের কথায়, ‘‘ওই কর্মীদের এমন ভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে যাতে তাঁরা প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিষেবা দিতে পারেন। তাঁরা স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ছোটখাটো সমস্যা সামলাতে পারবেন। চালাতে পারবেন ভেন্টিলেটরও।’’

এ ছাড়া আজকের বৈঠকে উপস্থিত মোর্চা নেতাদের দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়। গ্রামের মহিলাদের পুষ্টি সংক্রান্ত বিষয়টি দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মহিলা মোর্চাকে। জনজাতিদের আর্থিক উন্নয়ন ও কৃষকদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দিয়ে আয় বৃদ্ধি করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে যথাক্রমে জনজাতি ও কিষাণ মোর্চার নেতাদের। আজকের বৈঠকে কৃষক সমস্যা কত দ্রুত এবং কোন পথে মেটানো সম্ভব তা নিয়েও আলোচনা হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

BJP Rajya Sabha Bhupender Yadav
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE