Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪
Bihar Assembly Election 2020

গণনা শেষ পর্বে, ম্যাজিক ফিগারের থেকে এগিয়ে এনডিএ, এখন একক বৃহত্তম আরজেডি

বিহারে এনডিএ-ই যে ফের সরকার গড়তে চলেছে, সে দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী। রাতেই বিহার জয়ে নীতীশ কুমারের রাজ্যের বিহারের তরুণ ভোটারদের অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি।

পটনায় বিজেপি সমর্থকদের উল্লাস। ছবি: পিটিআই।

পটনায় বিজেপি সমর্থকদের উল্লাস। ছবি: পিটিআই।

নিজস্ব সংবাদদাতা
পটনা শেষ আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০২০ ০৬:০০
Share: Save:

সরকারি ভাবে বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হয়নি। তবে তার আগেই বিহার জয়ের ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বিহারে এনডিএ-ই যে ফের সরকার গড়তে চলেছে, সে দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী। রাতেই বিহার জয়ে নীতীশ কুমারের রাজ্যের বিহারের তরুণ ভোটারদের অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি। তরুণদের পাশাপাশি রাজ্যের মহিলাদের অভিনন্দনবার্তা দিয়েছেন অমিত শাহ। অবশ্য রাতেই নির্বাচন কমিশন সাংবাদিক সম্মেলন করে জানায়, বিহারের ২২৩টি আসনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। পূর্ণাঙ্গ ফলাফল জানা যাবে রাত ২টো নাগাদ।

বিহার জয়ের ঘোষণা করলেও একক বৃহত্তম দলের তকমা কে পাবে, তার নিয়ে শেষ মুহূর্তে চলেছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। নির্বাচন কমিশনের সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, রাত ৯টা পর্যন্ত ৯১ শতাংশ ভোটগণনা হয়। তার মধ্যে এনডিএ এগিয়ে থাকলেও সবচেয়ে বড় দল কে হবে, তা নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে ছিল। তবে দলগত আসনের ভিত্তিতে এই মুহূর্তে বিজেপি-র থেকে এগিয়ে রয়েছে আরজেডি। অন্যদিকে, ৩ নম্বরে রয়েছে নীতীশ কুমারের দল জেডিইউ।

বিহারে এনডিএ এগিয়ে থাকলেও বিজেপি-কে কড়া লড়াই দিচ্ছে রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি)। একক বৃহত্তম দল হিসাবে বিজেপি-কেও ছাপিয়ে গিয়েছে তেজস্বীর দল। অন্যদিকে, তাঁর শেষ ভোট হওয়া সত্ত্বেও সে অর্থে বিহারের মানুষের সমর্থন পেলেন না মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। বরং শরিক দল বিজেপি-ই সিংহভাগ ভোট কুড়িয়ে নিয়ে গেল। যদিও এখনও ভোটগণনা শেষ হয়নি বিহারে। তবে এই মুহূর্তে বিজেপি-কে সঙ্গে কড়া টক্কর দিচ্ছে আরজেডি। ২০১৫-র বিধানসভায় যেখানে ৭১টি আসনে জয়ী হয়েছিল জেডিইউ, এ বার এখনও পর্যন্ত তার ধারেকাছে পৌঁছতে পারেনি তারা। তাতেই নীতীশের সঙ্গে বিজেপির সমীকরণ নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বিজেপি যদিও জানিয়েছে, বিহারে নীতীশ কুমারকেই মুখ্যমন্ত্রী করা হবে।

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

বাবার ছত্রছায়ার বাইরে বেরিয়ে এই প্রথম দলের নির্বাচনী দায়িত্ব নিজের হাতে তুলে নিয়েছিলেন তেজস্বী যাদব। বিজেপি-কে কোণঠাসা করতে নির্বাচনী প্রচারে বেকারত্ব, অর্থনৈতিক সঙ্কট এবং পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দশার কথা তুলে ধরেছিলেন তিনি। শরিক দল কংগ্রেসের নেতা-মন্ত্রীদের সে ভাবে প্রচারে দেখা না গেলেও, প্রায় একাহাতেই সবকিছু সামাল দিয়েছেন তিনি। তাতে স্বতঃস্ফূর্ত সাড়াও পেয়েছিলেন সাধারণ মানুষের কাছ থেকে। প্রায় সমস্ত বুথফেরত সমীক্ষাও তাঁকেই এগিয়ে রেখেছিল। এ দিন ভোটগণনা শুরু হওয়ার সময় তাঁরাই এগিয়েছিলেন। কিন্তু বেলা যত বাড়তে থাকে, ততই ক্রমশ পিছিয়ে পড়তে থাকেন তেজস্বী। তবে সন্ধ্যার পর থেকে দ্রুত দলের অবস্থানের উন্নতি হতে থাকে। রাতে নিজের দলের লিড আরও বাড়িয়ে নেন তেজস্বী। এক সময় বিজেপি-কেও ছাপিয়ে যায় তাঁর দল।

নির্বাচন কমিশনের দেওয়া শেষ হিসেব অনুযায়ী, রাত সওয়া ২টো নাগাদ ৭৫টি আসনে এগিয়ে অথবা জিতে গিয়েছে আরজেডি। ৭৪টি আসনে ওই একই অবস্থা বিজেপি-র। কংগ্রেস এগিয়ে রয়েছে ১৯টি আসনে। তবে ক্ষমতা দখল নিয়ে এখনও আশাবাদী দলের নেতারা। দলের সাংসদ মনোজ ঝা জানিয়েছেন, যা কথা দিয়েছেন, তা করে দেখাবেন তাঁরা। আর কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা মাত্র।

• রাত সওয়া ২টো নাগাদ নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, বিহার বিধানসভার ২৪৩ আসনের মধ্যে ২৩৭টি ফলাফল ঘোষিত।

• কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা বলেন, ‘‘নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার এবং নীতীশ কুমারের নেতৃত্বে এনডিএ-র উপরে ভরসা রেখেছেন মানুষ। বিহারের উন্নতি ছাড়া দেশের উন্নয়ন হওয়া সম্ভব নয়। বিহারের উন্নয়নের জন্য আমরা কাজ করব।’’

• এখনও পর্যন্ত বিহার বিধানসভায় ২৩৬টি আসনের ফলাফল ঘোষিত।

• বিহার বিধানসভার ২৩০টি আসনের ফলাফল ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন।

• এখনও পর্যন্ত ২২৩টি আসনের ফলাফল ঘোষিত। আর ১ ঘণ্টার মধ্যে জানা যাবে বিহার বিধানসভা নির্বাচনের পূর্ণাঙ্গ ফলাফল। সাংবাদিক সম্মেলন করে জানাল কমিশন।

• রাঘোপুর কেন্দ্রে জয়ী আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব। বিজেপি প্রার্থী সতীশ কুমারকে ৩৮ হাজারেরও বেশি ভোটে হারালেন তিনি।

• বিহারের তরুণ ভোটারদের অভিনন্দন জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এ দিন রাতে টুইটারে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, ‘বিহারের যুবসম্প্রদায় এটা স্পষ্ট করে দিয়েছে যে এই নয়া দশক হবে বিহারের। এবং আত্মনির্ভর বিহারের মাধ্যমেই সেই রোডম্যাপও তৈরি হবে। এনডিএ-র ক্ষমতা এবং সংকল্পের প্রতি আস্থা রেখেছে বিহারের যুবসমাজ। এই যুবশক্তিই এনডিএ-কে আগের থেকে আরও কঠোর পরিশ্রমে উৎসাহিত করবে’।

• বিহারে জয়ের দাবি করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

• ফলাফল ঘোষণা না হলেও বিহার বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের জন্য মহিলা এবং তরুণদের অভিনন্দন জানালেন বিজেপি নেতা অমিত শাহ।

• রাতে পটনার সাংবাদিক সম্মেলনে বিজেপি নেতা ভূপেন্দ্র যাদব বলেন, ‘‘বিহার বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করেছে এনডিএ।’’

• সাংবাদিক সম্মেলন করে বিহার জয়ের ঘোষণা বিজেপি-র।

• ৫টি আসনে জয়ী আসাদউদ্দিন ওয়াইসির দল অল ইন্ডিয়া মজলিস-এ-ইত্তেহাদউল-মুসলিমীন (এইএমআইএম)।

• নালন্দা কেন্দ্রে জয়ী ডেডিইউ প্রার্থী শ্রবণ কুমার।

• মাটিহানি কেন্দ্রে জেডিইউ-এর বোগো সিংহকে হারালেন এলজেপি প্রার্থী রাজকুমার সিংহ।

• ১টি আসনে জয় পেল চিরাগ পাসোয়ানের দল লোক জনশক্তি পার্টি (এলজেপি)।

• আসাদউদ্দিন ওয়াইসির দল অল ইন্ডিয়া মজলিস-এ-ইত্তেহাদউল-মুসলিমীন (এইএমআইএম) ৪টি আসনে জয় পেল। ১টি আসনে এগিয়ে রয়েছে এইএমআইএম।

• বিহারের নির্বাচন প্রধানমন্ত্রী মোদীর জয়। বিহারের মানুষ মোদীজির উপরেই আস্থা রেখেছেন বলে মন্তব্য করেছেন এলজেপি নেতা চিরাগ পাসোয়ানের।

• কুরহানি বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী কেদার গুপ্ত ওই কেন্দ্রে পুনরায় গণনার দাবি করেছেন। এ নিয়ে তিনি নির্বাচন কমিশনেরও দ্বারস্থ হবেন বলে জানিয়েছেন।

• নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত বিহার বিধানসভার ১০৩টি কেন্দ্রের ফলঘোষণা হয়ে গিয়েছে। বাকি ১৪০টি আসনের গণনা চলছে।

• ইতিমধ্যেই ৩ কোটি ৭৭ লক্ষ ভোটগণনা হয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

• রাত ৯টা পর্যন্ত ৯১ শতাংশ ভোটগণনা হয়েছে, জানাল নির্বাচন কমিশন।

• জামুই কেন্দ্র থেকে জয়ী বিজেপি প্রার্থী শ্রেয়সী সিংহ। আরজেডি-র বিজয় প্রকাশকে ৪১ হাজার ৪৯ ভোটে হারালেন তিনি।

• ইমামগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জিতলেন হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চার প্রার্থী জীতনরাম মাঁঝী। আরজেডি-র উদয়নারায়ণ চৌধরিকে ১৬ হাজারেরও বেশি ভোটে হারালেন তিনি।

• হসনপুর কেন্দ্র থেকে জয়ী আরজেডি-র তেজ প্রতাপ যাদব। জেডিইউ-এর প্রার্থী রাজকুমার রায়কে ২১ হাজারের বেশি ভোটে হারালেন তেজ প্রতাপ।

• ভোটের ফলাফলে কারচুপি করতে ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন নীতীশ কুমার, অভিযোগ আরজেডি-র।

• এনডিএ জোটই বিহারে সরকার গড়বে, দাবি করলেন এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ার।

• এনডিএ জোট এগিয়ে থাকায় ভোটগণনার মাঝেই পটনায় উল্লাস জেডিইউ সমর্থকদের।

• তেজস্বী সূর্যের টুইট, ‘বিহারে বিজেপি-র জয় প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর সুশাসনের প্রমাণ দেয়, বিশেষ করে কোভিডে সময়। হতদরিদ্রেরও খেয়াল রেখেছে সরকার। দেশের পক্ষে এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ যে বিহার ফের জঙ্গলরাজে ফিরে যায়নি। এনডিএ-তে আস্থা রাখার জন্য প্রত্যেক বিহারিকে ধন্যবাদ’।

• নির্বাচনের ফলাফল ঘোষিত না হলেও বিহারে এনডিএ জোটকে ইতিমধ্যেই অভিনন্দন জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা তেজস্বী সূর্য।

• ঔরঙ্গাবাদে খাতা খুলল কংগ্রেস। বিজেপি-র রামধীর সিংহকে ২ হাজার ২৪৩ ভোটে হারালেন কংগ্রেস নেতা অনন্ত শঙ্কর সিংহ।

• সাহেবপুর কমল, হায়াঘাট এবং আলিনগরে জয়ী বিজেপি।

• বিকেল পৌনে ৫টা পর্যন্ত ২ কোটি ২৯ লক্ষ ভোটগণনা হয়েছে বলে জানাল কমিশন।

• দুপুর সওয়া ৩টে পর্যন্ত ১ কোটি ৬৯ লক্ষ ভোটগণনা হয়েছে বিহারে, জানাল কমিশন।

• দ্বারভাঙার চারটি আসনের ফল ঘোষণা। তিনটি আসনে জয়ী বিজেপি। একটিতে জেডি(ইউ)।

• দ্বারভাঙায় প্রায় ১০ হাজার ভোটে জিতলেন বিজেপি-র সঞ্জয় সারাওগি। আরজেডি-র সঞ্জয় সারাওকে পরাজিত করলেন তিনি।

• ইমামগঞ্জে ফের এগোলেন জীতন রাম মাঁঝী। আগে আরজেডি-র উদয় নারায়ণ চৌধরির কাছে পিছিয়ে পড়েছিলেন তিনি। এখনও পর্যন্ত ৩২ হাজারের বেশি ভোট পেয়েছেন জীতন রাম মাঁঝী। আরজেডি প্রার্থী রয়েছেন ২৫ হাজারে।

• দুপুর ২টো পর্যন্ত বিহারের ৭টি আসনে দুই শীর্ষ দলের মধ্যে ভোটের ব্যবধান ২২০-র কম। ৪৯টি আসনে ভোটের ব্যবধান ১০০০-এর কম।

• ‘আর কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করুন। যা বলেছি, তা করে দেখাব’, মন্তব্য আরজেডি সাংসদ মনোজ ঝায়ের।

• ৫০ হাজারের বেশি সার্ভিস ব্যালটের গণনা বাকি রয়েছে। ভোটের ফল বেরোতে মধ্যরাত হয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে কমিশন।

• চতুর্থ রাউন্ডে গণনার পর রামগড়ে এগিয়ে রয়েছেন বিএসপি-র অম্বিকা সিংহ। তিনি ৩২ হাজার ৭৫৯ ভোট পেয়েছেন। বিজেপির অশোক সিংহ পেয়েছেন ২৮ হাজার ১৯৭ ভোট।

• চৈনপুরে বহুজন সমাজ পার্টির (বিএসপি) জামা খান ১ হাজার ৯৬ ভোটে এগিয়ে রয়েছেন। তিনি ১৫ হাজার ৩৬১ ভোট পেয়েছেন। বিজেপির ব্রিজকিশোর বিন্দ পেয়েছেন ১৪ হাজার ২৬৫ ভোট।

• সকাল ৮টায় গণনা শুরু হওয়ার পর ৫ ঘণ্টায় ৮৭ লক্ষ ৮৮ হাজার ৭৮০ ভোট গোনা সম্ভব হয় বলে জানাল নির্বাচন কমিশন। এ বছর মোট ৪ কোটি মানুষ ভোট দিয়েছেন বিহারে।

• দুপুর ১২টা পর্যন্ত গণনা সম্পূর্ণ হওয়ার পর দেখা গিয়েছে, ১৭০ আসনে ২ হাজারেরও কম ব্যবধান রয়েছে।

• পটনায় বিজেপি এবং জেডি(ইউ) সমর্থকদের উচ্ছ্বাস।

• ৬ রাউন্ড গণনার পর হসনপুরে এগিয়ে তেজ প্রতাপ যাদব। এখনও পর্যন্ত ১৫ হাজার ভোট পেয়েছেন তিনি। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী জেডি(ইউ) নেতা ১২ হাজার ভোট পেয়েছেন।

• নির্বাচন কমিশনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বেলা ১১টা পর্যন্ত ১১৭ আসনে এগিয়ে রয়েছে এনডিএ। এর মধ্যে ৬৩ আসনে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। জেডি(ইউ) এগিয়ে রয়েছে ৪৮ আসনে। ৯৫ আসনে এগিয়ে রয়েছে মহাজোট। এর মধ্যে আরজেডি এগিয়ে রয়েছে ৬১ আসনে। কংগ্রেস ১৯ এবং বামেরা ১৫ আসনে এগিয়ে রয়েছে। অর্থাৎ এই মুহূর্তে একক বৃহত্তম দল হওয়ার পথে বিজেপি।

• নাগাদ দৌড়ে এগিয়ে গেল এনডিএ। বেলা পৌনে ১১টায় ১২৬ আসনে এগিয়ে রয়েছে তারা। মহাজোট এগিয়ে ১০০ আসনে।

• হসনপুরে জেডি (ইউ) নেতা রাজকুমার রায়ের কাছে পিছিয়ে পড়লেন তেজপ্রতাপ যাদব। সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত তেজপ্রতাপের ঝুলিতে ৪ হাজার ভোট পড়েছে। রাজকুমার রায় ৫ হাজার ৬০০ ভোট পেয়েছেন।

• বাঁকীপুরে পিছিয়ে প্লুরালস পার্টির পুষ্পম প্রিয়া চৌধরি। কংগ্রেসের লব সিনহাও পিছিয়ে রয়েছেন।

• লক্ষ্মীসরাইয়ে পোস্টাল ব্যালট গণনায় বিজেপির বিজয়কুমার সিনহা এগিয়ে। ১ হাজার ২৮৭ ভোট পেয়েছেন তিনি। কংগ্রেসের অমরেশকুমার আনিস পেয়েছেন ১ হাজার ৩৩ ভোট।

• সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত রাঘোপুরে প্রায় ৭০০ ভোটে এগিয়ে তেজস্বী যাদব। প্রথম রাউন্ডের গণনার পর তাঁর ঝুলিতে ২ হাজার ৫১২ ভোট পড়েছে। বিজেপির সতীশ কুমার পেয়েছেন ১ হাজার ৭৮৫ ভোট।

• জল্লে বিধানসভা কেন্দ্রে এগিয়ে বিজেপির জীবেশ কুমার। পিছিয়ে পড়েছেন কংগ্রেসের মকসুর উসমান।

• অউরাইয়ে বিজেপির রাম সুরত রাই এগিয়ে। মুজফ্ফরনগরে কংগ্রেসের বিজেন্দ্র চৌধুরী এগিয়ে।

• আরজেডি-র বাচ্চা পান্ডে বাহরিয়ায় এগিয়ে রয়েছেন।

• সকাল ৯টা পর্যন্ত ৬৭ আসনে এগিয়ে রয়েছে আরজেডি নেতৃত্বাধীন মহাজোট। ৩৫টি আসনে এগিয়ে এনডিএ শিবির।

• বিজেপির সুরেশ শর্মা এগিয়ে মুজফ্ফরপুরে।

• হসনপুরে এগিয়ে তেজ প্রতাপ যাদব।

• শেখপুরায় এগিয়ে জেডি(ইউ)-এর রণধীর সোনি। বারবিঘাতে এগিয়ে কংগ্রেসের গজানন্দ শাহি।

• রাঘোপুরে এগিয়ে তেজস্বী যাদব।

• বিহারে ২৪৩ আসনে ভোটগণনা শুরু হল।

বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগণনা শুরু হল বিহারে। ভোটের ফল কোন পক্ষে যাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত তার স্পষ্ট ইঙ্গিত মেলেনি। বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ এবং আরজেডি নেতৃত্বাধীন ইউপিএ শিবিরের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে সেখানে। নীতীশ কুমার এ বারে কোনও কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি। তাঁর প্রতিপক্ষ তেজস্বী যাদব রাঘোপুর থেকে লড়ছেন। এই মুহূর্তে নিজের কেন্দ্রে এগিয়েই রয়েছেন তিনি।

ইঙ্গিত মিলেছে বুথফেরত সমীক্ষায়। কিন্তু এই সব প্রশ্নের জবাব মিলবে আজ, মঙ্গলবার। সকাল ৮টা থেকে ২৪৩ আসনের ভোটগণনা শুরু হয়েছে। আর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই জানা যাবে, করোনা কালে দেশের প্রথম ভোটে কার প্রতি আস্থা রেখেছেন বিহারবাসী।

বুথফেরত সমীক্ষায় কিন্তু পাল্লা ভারী আরজেডি, কংগ্রেস ও বামেদের ‘মহাগঠবন্ধন’-এর। বুথফেরত সমীক্ষা সব সময় মিলে যায় এমন নয়। কিন্তু ভোটের ফলের প্রবণতা বুঝতে এই সব সমীক্ষা মোটের উপর স্বীকৃত। তার উপর অধিকাংশ বুথফেরত সমীক্ষাই বলছে, বিজেপি-জেডিইউ-হাম-ভিআইপির এনডিএ জোটকে পিছনে ফেলে সরকার গড়ার দৌড়ে এগিয়ে তেজস্বীর নেতৃত্বে ইউপিএ জোট। ফলে কিছুটা হলেও এগিয়ে থেকে ভোটগণনার ময়দানে নেমেছেন তেজস্বীরা।

বিজেপি-জেডিইউ-এর সবচেয়ে বড় পরীক্ষা করোনা ও লকডাউন। করোনা অতিমারি দেশে ছড়িয়ে পড়ার পর এই প্রথম দেশে ভোট হয়েছে। সেই দিক থেকে বিহারের এই ভোট শুধু সে রাজ্যের নয়, সারা দেশের জন্যই অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। শুধু নীতীশ কুমার নয়, দাঁড়িপাল্লায় মাপা হবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তথা কেন্দ্রের বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের ভূমিকাও। লকডাউনে কোটি কোটি পরিযায়ী শ্রমিকদের সঙ্কটে সাহায্য করা, কাজ হারানো অসংগঠিত শ্রমিকদের নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা, ক্ষুদ্র-অতিক্ষুদ্র-মাঝারি শিল্পক্ষেত্রকে বাঁচানো— করোনা কালে এই সব প্রশ্ন সামনে রেখেই কিন্তু ভোট দিয়েছেন বিহারের সাধারণ মানুষ।

আরও পডুন: বিহারে জল্পনা তেজস্বীকে ঘিরে, ‘চোরাশিকার’ রুখতে সক্রিয় কংগ্রেস

ভোট পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, আমেরিকায় যেমন কার্যত করোনাই নির্ধারণ করে দিয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভাগ্য, করোনা-উত্তর পরিস্থিতিতে কোন পথে আবর্তিত হবে ভারতবর্ষের রাজনীতি তার খানিকটা আভাস কিন্তু মিলবে বিহারের এ বারের ভোটে। লোকসভা ভোটে বিজেপি ব্যাপক সাফল্য পেলেও বিধানসভা নির্বাচনে সেই ফল ধরে রাখতে পারল কি না, সেই প্রশ্নের চুলচেরা বিশ্লেষণের মুখেও পড়তে হবে মোদীকে।

নীতীশের কাছে আবার করোনা সঙ্কটের পাশাপাশি উন্নয়ন, কর্মসংস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা-সহ সামগ্রিক সুশাসনের পরীক্ষাও বটে। গত পাঁচ বছরে তাঁর জমানার হিসেবনিকেশ করেই বিহারবাসী ইভিএমবন্দি করেছেন নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকার। নীতীশ অবশ্য ভোটগণনার আগেই রাজনৈতিক ‘সন্ন্যাস’-এর ঘোষণা করে দিয়েছেন। জানিয়ে দিয়েছেন, এটাই তাঁর শেষ ভোট। ফলে আগামী পাঁচ বছর বিরোধী আসনে বসে কাটবে, নাকি মুখ্যমন্ত্রীর মসনদে, তার উত্তর মিলবে আজই।

লালুপ্রসাদ যাদবের পুত্র তেজস্বীর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎও কিন্তু অনেকটাই ঠিক করে দেবে এ বারের বিধানসভা নির্বাচন। পশুখাদ্য কেলেঙ্কারিতে লালুপ্রসাদ জেলবন্দি। এ বারের ভোটপ্রচারে কার্যত লালুপ্রসাদের ছোঁয়াচ রাখেননি তেজস্বী। কোনও জায়গাতেই প্রচারে বাবার নামে ভোট চাননি তিনি। এমনকি, তাঁর নাম পর্যন্ত করেননি। সে দিক থেকে পিতৃপরিচয়ের বাইরে বেরিয়ে আরজেডি সুপ্রিমো হিসেবে প্রচার চালিয়ে তিনি কতটা সফল হলেন, সেই প্রশ্নের জবাবও এ দিন মিলবে। পাশাপাশি লালুপ্রসাদ-উত্তর জমানায় কংগ্রেসের সঙ্গে তাঁর জোটের রসায়ন কেমন, বোঝা যাবে সেটাও। ইউপিএ জোট ভোটে জিতলে তেজস্বীর মুখ্যমন্ত্রী হওয়া প্রায় নিশ্চিত। সেটা হলে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে অভিষেক হবে তাঁর। প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী থেকে বিহারের সর্বোচ্চ শাসকের আসনে হবে পদোন্নতি।

জাতীয় রাজনীতিতে লোকসভা নির্বাচন নিয়ে একটা রসিকতা চালু আছে— রামবিলাস পাসোয়ান কোন জোটে যাচ্ছেন, তা দেখে ভোটের আগেই বলে দেওয়া যায়, কারা সরকার গঠন করবে। সেই রামবিলাস পাসোয়ান প্রয়াত হয়েছেন কয়েক দিন আগেই। তাঁর দল এলজেপি-র রাশ ছেলে রামবিলাসপুত্র চিরাগের হাতে। চিরাগ এ বার কারও সঙ্গে জোট না করেই ভোটের ময়দানে নেমেছেন। বাবার অনুপস্থিতি এবং একলা চলো নীতিতে চিরাগের ফল কেমন হল, তার দিকেও নজর থাকবে দেশবাসী এবং রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের।

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE