আরও পড়ুন: অর্থনীতিকে কর্পোরেট পুঁজির হাতে তুলে দেওয়ার বিষম তাড়া
২০১৫ সালে ১২ অক্টোবর থেকে ৫ নভেম্বর— পাঁচ দফায় বিহারের ২৪৩টি আসনে ভোটগ্রহণ হয়েছিল। গণনা হয়েছিল ৮ নভেম্বর। নির্বাচন কমিশনের একটি সূত্র জানাচ্ছে, এ বারও মোটের উপর একই সূচি অনুসরণ করা হতে পারে। করোনা পরিস্থিতিতে মুজফ্ফরপুরের এক সমাজকর্মী ভোট বন্ধ করার দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন। কিন্তু বিচারপতি অশোক ভূষণের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ সেই আবেদন খারিজ করে দেয়। তারা বলে, আদালত নির্বাচন কমিশনের কাজে হস্তক্ষেপ করতে পারে না।
আরও পড়ুন: উমর খালিদের মুক্তি চেয়ে সরব চমস্কি-রুশদিরা
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, বিহারে আপাতত মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট বিরোধী ‘মহাগঠবন্ধন’-এর চেয়ে কিছুটা এগিয়ে। প্রসঙ্গত, গত বছর লোকসভা ভোটে বিহারের ৪০টি আসনের মধ্যে ৩৯টিতেই জিতেছিল বিজেপি-জেডি (ইউ)-লোক জনশক্তি পার্টির জোট। ‘মহাগঠবন্ধন’-এর শরিক কংগ্রেস জিতেছিল ১টি মাত্র আসনে।
এ বার ভোটের আগে বিরোধী জোট ছেড়ে এনডিএ-তে যোগ দিয়েছে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জিতনরাম মাঁঝির ‘হিন্দুস্তান আওয়াম মোর্চা’। আরজেডি-র সঙ্গে আসন ভাগাভাগি নিয়ে মতবিরোধের জেরে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী উপেন্দ্র কুশওয়াহার আরএলএসপি-ও শাসক শিবিরে যোগ দিতে পারে বলে রাজনৈতিক সূত্রের খবর। অন্যদিকে, এনডিএ জোটে নীতীশের জেডি(ইউ)-র সঙ্গে লোক জনশক্তি পার্টির তরজা সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে। এই আবহে আজ ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার দিকে তাকিয়ে সব পক্ষ।