নীতীশ যদিও ২০১৫-র বিধানসভা ভোটে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটকে পর্যুদস্ত করে ক্ষমতায় ফেরেন। সেই সরকারের মন্ত্রী হন তেজস্বী এবং তাঁর দাদা তেজপ্রতাপ। কিন্তু ২০১৭ সালে নীতীশ ‘মহাগঠবন্ধন’ ছেড়ে ফের এনডিএ জোটে শামিল হন। মোদী যে সময় নীতীশের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন, আরজেডি তখন বিহার মন্ত্রিসভায় ছিল না।
একদা নীতীশ সরকারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বীর অভিযোগ, ৫ বছর আগে মোদী সুনির্দিষ্ট ভাবে ৩৩টি দুর্নীতি চিহ্নিত করেছিলেন। ভিডিয়োর সঙ্গে ধারাবাহিক টুইটে লিখেছেন, ‘নীতীশজি শুনে দেখুন, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের দুর্নীতি, ওষুধ কেনায় দুর্নীতি, মদ দুর্নীতি, মিড-ডে মিল দুর্নীতি রয়েছে’। এমনকি, শৌচালয় নির্মাণ, শিক্ষার্থীদের বৃত্তি কর্মসূচি, কৃষকদের থেকে ধান কেনার ক্ষেত্রে দুর্নীতির বিষয়েও মোদী সে সময় নীতীশকে আক্রমণ করেছিলেন বলে তেজস্বীর দাবি।
২৪৩ আসন বিশিষ্ট বিহার বিধানসভার প্রথম দফায় ৭১টি আসনে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে ২৮ অক্টোবর। নভেম্বরের গোড়াতেই আরও দুই দফায় নির্বাচন হবে। চিরাগ পাসোয়ানের এলজেপি এনডিএ জোট ছেড়ে আলাদা লড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় এ বার নীতীশ বনাম তেজস্বী শিবিরের কড়া টক্কর হতে চলেছে বলে কয়েকটি জনমত সমীক্ষার পূর্বাভাস। ফলে বাড়ছে রাজনৈতিক চাপানউতোরের পালা। বুধবার মোদী বিহারে ভোট প্রচারে এসে লালুপ্রসাদ-রাবড়ি দেবীর জমানার ‘অরাজকতা’র প্রসঙ্গ তুলে ‘মহাগঠবন্ধন’-এর মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী তেজস্বীকে ‘জঙ্গলরাজ কা যুবরাজ’ বলেছিলেন।
আরও পড়ুন: জবাব দিন মমতা, রাহুল, পাক মন্ত্রীর পুলওয়ামা-মন্তব্যের জেরে দাবি বিজেপির