‘কীর্তিমান’ আইপিএসের আত্মসমর্পণ। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
বিচারকের নামে ভুয়ো হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট বানিয়ে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির মামলা ধামাচাপা দিতে চেয়েছিলেন। বিহারের পুলিশ সুপার পদমর্যাদার সেই আইপিএস আধিকারিক শেষ পর্যন্ত আত্মসমর্পণ করলেন। গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি পলাতক ছিলেন। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টে তাঁর আগাম জামিনের আবেদন খারিজ হয়। তার পরেই আত্মসমর্পণ করেন ২০১১ ব্যাচের আইপিএস অফিসার আদিত্য কুমার।
নীতীশ কুমারের বিহারে মদ নিষিদ্ধ। এই মদ সংক্রান্ত কোনও মামলাতেই জড়িয়ে পড়েছিলেন ২০১১ সালের ব্যাচের আইপিএস আধিকারিক আদিত্য। সেই মামলা ধামাচাপা দিতে তিনি হোয়াটসঅ্যাপে একটি ভুয়ো প্রোফাইল খোলেন। তাতে নাম এবং ছবি দেন পটনা হাই কোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সঞ্জয় করোলের। তার পর সেই প্রোফাইল থেকে মামলা ধামাচাপা দেওয়ার নির্দেশ যায় বিহার পুলিশের ডিজিপি এসকে সিঙ্ঘলের কাছে। বলা হয়, মামলাটি নিয়ে যেন নাড়াচাড়া না করা হয়। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই হুলস্থুল পড়ে যায় বিহারে। সেই সময় থেকেই পলাতক ছিলেন আদিত্য।
এই মামলাতেই নিম্ন আদালতে তাঁর আগাম জামিনের আবেদন খারিজ হয়। ক্রমান্বয়ে আদিত্য সুপ্রিম কোর্টেরও দ্বারস্থ হন। কিন্তু সেখানেও সম্প্রতি খারিজ হয়ে যায় তাঁর আগাম জামিনের আর্জি। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা জানান, মামলাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দু’সপ্তাহের মধ্যে আদিত্যকে সংশ্লিষ্ট থানায় আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয় দেশের শীর্ষ আদালত। সেই অনুযায়ী, আত্মসমর্পণ করলেন আদিত্য। পাশাপাশি বিহারের ‘ইকনমিক অফেন্স উইং’কে এ বিষয়ে যাবতীয় তথ্য কেসডায়েরি-সহ জমা দিতে হবে আদালতের কাছে। মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে ১২ ডিসেম্বর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy