দিল্লি চলল বিহার। রাজনীতির লড়াই আর পটনার আঙিনায় সীমাবদ্ধ রাখতে চান না বিহারের নেতারা। আর সেই লক্ষ্যেই ‘দিল্লি পুরসভা’ নির্বাচনে সক্রিয় ভাবে অংশ নিতে চলেছেন লালু-নীতীশ-রামবিলাস-জিতন মাঁঝিরা। দিল্লি পুর নির্বাচনে নিজেদের দলের প্রার্থী দিয়েছেন তাঁরা। আগামী সপ্তাহ থেকে দলীয় প্রার্থীদের হয়ে প্রচারেও নামবেন নেতারা।
গত মাস কয়েক ধরেই দিল্লি পুর নির্বাচনে লড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে জেডিইউ। দলের তরফে সঞ্জয় ঝাঁকে দিল্লির দায়িত্ব দিয়েছেন নীতীশ কুমার। আগামী ৯ এপ্রিল দিল্লিতে সভাও করবেন নীতীশ। বিহারে কংগ্রেসের এবং আরজেডির সঙ্গে জোট করে সরকার চালালেও দিল্লিতে সকলেই একলা চলো নীতি নিয়েছে। তাঁদের সকলেরই নজর মূলত দিল্লির পুর এলাকার বিপুল সংখ্যক বিহারি ভোট।
জেডিইউ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় দেড়শো আসনে লড়াই করবে জেডিইউ। নীতীশ কুমার-সহ সব বড় নেতাই দিল্লিতে প্রচারে নামবেন। আসলে পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনে কিছুটা কমজোর হযে পড়েছে অরবিন্দ কেজরিবালের আম আদমি পার্টি। দিল্লিতে আম আদমি পার্টির সাফল্যে বিহারের ভোটব্যাঙ্কের ভূমিকা অনেকটাই ছিল বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। সেই ভোটব্যাঙ্ক ধরতেই নামছে জেডিইউ। সঞ্জয়ের মতে, ‘‘এটাকে দিল্লিতে জেডিইউয়ের ‘লিটমাস টেস্ট’ বলা যেতে পারে।’’
এরই পাশাপাশি, লালুপ্রসাদের আরজেডি দিল্লির প্রায় ৬০টি ওয়ার্ডে লড়াই করবে বলে ঠিক করেছে। আরজেডির সাধারণ সম্পাদক কামরে আলম জানিয়েছেন, শরীর সুস্থ থাকলে লালুপ্রসাদ নিজেই প্রচারে যেতে পারেন। এ ছাড়া তেজস্বী ও তেজপ্রতাপ তো প্রচারে যাবেনই। দিল্লি পুর নির্বাচনের মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন আগামী ৩ এপ্রিল। ভোট হবে ২৩ এপ্রিল। এ বার বিজেপিও দিল্লিতে লড়ছে ‘বিহারি’ মনোজ তিওয়ারির নেতৃত্বে। বিজেপিরও মূল লক্ষ্য সেই বিহারি ভোটই। স্বাভাবিক ভাবেই ভোটের ময়দানে সদলে নেমেছেন রামবিলাস পাশোয়ান এবং জিতনরাম মাঁঝিও।