Advertisement
০৩ ডিসেম্বর ২০২৩

দুই ছাত্রের দেহ জলে, গণপিটুনিতে হত স্কুলকর্তা

স্কুলের ছাত্রাবাসের পাশের খাদের জল থেকে উদ্ধার হয় দু’টি ছাত্রের দেহ। খবর ছড়াতে উত্তেজিত জনতা হামলা চালায় স্কুলে। স্কুলবাসে আগুন লাগানো হয়। পৌঁছন স্কুলের ডিরেক্টর। দুর্ঘটনার জন্য তাঁকেই দায়ী করে বেধড়ক মারধর শুরু করে স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশ পৌঁছলে শুরু হয় ইটবৃষ্টি। কোনও মতে গুরুতর জখম স্কুলকর্তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর তাঁর মৃত্যু হয়। বিক্ষোভকারীদের ইটের আঘাতে জখম হন কয়েক জন পুলিশকর্মীও।

দুই পড়ুয়ার দেহ উদ্ধারের ঘটনায় স্কুলভ্যানে আগুন লাগিয়েছে উত্তেজিত জনতা। রবিবার নালন্দার দেবেন্দ্র প্রতাপ সিংহ বিদ্যালয়ে। ছবি: পিটিআই।

দুই পড়ুয়ার দেহ উদ্ধারের ঘটনায় স্কুলভ্যানে আগুন লাগিয়েছে উত্তেজিত জনতা। রবিবার নালন্দার দেবেন্দ্র প্রতাপ সিংহ বিদ্যালয়ে। ছবি: পিটিআই।

নিজস্ব সংবাদদাতা
পটনা শেষ আপডেট: ২৯ জুন ২০১৫ ০৩:০১
Share: Save:

স্কুলের ছাত্রাবাসের পাশের খাদের জল থেকে উদ্ধার হয় দু’টি ছাত্রের দেহ। খবর ছড়াতে উত্তেজিত জনতা হামলা চালায় স্কুলে। স্কুলবাসে আগুন লাগানো হয়। পৌঁছন স্কুলের ডিরেক্টর। দুর্ঘটনার জন্য তাঁকেই দায়ী করে বেধড়ক মারধর শুরু করে স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশ পৌঁছলে শুরু হয় ইটবৃষ্টি। কোনও মতে গুরুতর জখম স্কুলকর্তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর তাঁর মৃত্যু হয়। বিক্ষোভকারীদের ইটের আঘাতে জখম হন কয়েক জন পুলিশকর্মীও।

আজ বিহারের নালন্দার জগদীশপুরের নীরপুর গ্রামের দেবেন্দ্র প্রতাপ সিংহ বিদ্যালয়ে ঘটনাটি ঘটেছে। এর জেরে বিহারের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, স্কুল থেকে কিছুটা দূরে নীরপুর গ্রামে ছাত্রাবাসে থেকে পড়াশোনা করত রবি কুমার (১১) ও সাগর কুমার (১০)। এ দিন ছাত্রাবাসের লাগোয়া খাদের জল থেকে তাদের দেহ পাওয়া যায়। কী ভাবে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে তা নিয়ে ধন্দ রয়েছে। খবর রটতেই আশেপাশের বাসিন্দারা ভিড় যায়। স্কুলে শুরু হয় তাণ্ডব। নালন্দার পুলিশ সুপার সিদ্ধার্থমোহন জৈন জানিয়েছেন, ঝামেলা চলাকালীন সেখানে পৌঁছন ডিরেক্টর দেবেন্দ্র প্রতাপ সিংহ (৬৫)। বাসিন্দারা তাঁকে ঘিরে মারধর করতে শুরু করে। বাঁশ দিয়ে তাঁকে পেটানো হয়। সমানতালে চলে কিল-চড়-লাথি। খবর পেয়ে পুলিশ গেলে তাঁদের লক্ষ্য করে শুরু হয় ইটবৃষ্টি। কোনও রকমে স্কুলের কর্তা দেবেন্দ্র প্রতাপকে উদ্ধার করে পটনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। কিন্তু পরে তাঁর মৃত্যু হয়।

গোটা ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সময়মতো পুলিশ না আসার অভিযোগ করেছে স্কুলকর্তৃপক্ষ। পুলিশের সামনে ডিরেক্টরকে মারধর করার অভিযোগ করা হয়েছে স্কুলের তরফে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE