ডাকাতদের ধারণা ভুল প্রমাণিত করলেন সাহসী শান্তি এবং জুহি। ছবি: সংগৃহীত।
বিহারের হাজিপুরের সেন্দুয়ারি চকের উত্তর বিহার গ্রামীণ ব্যাঙ্ক। বুধবার সেই ব্যাঙ্কেরই বাইরে পাহারায় ছিলেন দুই মহিলা কনস্টেবল। জুহি কুমারী এবং শান্তি কুমারী। সেই সুযোগই বোধহয় খুঁজছিল একটি ডাকাতের দল। মনে করেছিল, খুব সহজেই মহিলা পুলিশকর্মীদের নাস্তানাবুদ করে ব্যাঙ্কের সব টাকা নিয়ে তারা পালিয়ে যাবে। পালিয়ে তাঁদের যেতেই হল তবে ডাকাতি করে নয়, পুলিশের দুই মহিলা কনস্টেবলের তাড়া খেয়ে। ডাকাতদের ধারণা ভুল প্রমাণিত করলেন সাহসী শান্তি এবং জুহি।
বুধবার সকাল ১১টা নাগাদ ব্যাঙ্কে ঢুকে পাহারায় থাকা শান্তি এবং জুহির দিকে বন্দুক তাক করেন তিন দুষ্কৃতী। চোখের পলকে দুষ্কৃতীদের দিকে ঝাঁপিয়ে প়ড়েন তাঁরা। ডাকাতদের বন্দুকের নল ধরে হাতে করে সেগুলি কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। পাশপাশি নিজেদের হাতের রাইফেলগুলিও আঁকড়ে ধরে রেখেছিলেন তাঁরা। বেশ কিছু ক্ষণ ধস্তাধস্তির পর তিন ডাকাত বুঝে যান, এই মহিলা পুলিশকর্মীদের পরাস্ত করা মুখের কথা নয়। শান্তি-জুহিকে ধাক্কা মেরে চম্পট দেন তাঁরা। সংঘাতে আহত হলেও জুহি রাইফেল হাতে দুষ্কৃতীদের ধরতে এগিয়ে যান।
পুরো ঘটনাটি ইতিমধ্যেই ব্যাঙ্কের সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। সেই ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যদিও এই ঘটনার সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
ঘটনা প্রসঙ্গে সেন্দুয়ারি চক থানার পুলিশ আধিকারিক ওম প্রকাশ বলেন, ‘‘তিন জন দুষ্কৃতী বুধবার সকাল ১১টার দিকে সেন্দুয়ারিতে ব্যাঙ্ক লুট করার চেষ্টা করেছিল। আমাদের মহিলা কনস্টেবলরা সাহস দেখিয়ে তাঁদের আটকে দেন। গুলি চালাতে হয়নি। কনস্টেবলদের পুরস্কৃত করা হবে।’’
তবে ডাকাতি আটকিয়ে আলাদা করে একটুও দম্ভ বাড়েনি শান্তি এবং জুহির। যা করেছেন, তা তাঁদের কর্তব্য বলেই জানিয়েছেন তাঁরা।
পুলিশ এখন ওই দুষ্কৃতীদের খোঁজে রয়েছে এবং পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy