সুর থেকে সংসার— চেনা রাস্তা পছন্দ ছিল না তাঁর। বিশ্বের সঙ্গে গোয়ালপড়িয়া গানের পরিচয় করিয়েছিলেন সেই ছকভাঙা গায়িকা।
৮৬ মিনিটের ছবিতে প্রতিমা পাণ্ডে বরুয়ার জীবনের সে সব গল্পই বাঁধলেন পরিচালক ববি শর্মা বরুয়া। সিনেমার নাম ‘সোনার বরণ পাখি’। প্রতিমাদেবীর সেই জীবন-কাহিনি যাবে লস অ্যাঞ্জেলেস চলচ্চিত্র উৎসবে।
পরিচালক জানান, শিল্পীর জীবন সিনেমায় তুলে ধরা সহজ ছিল না। গৌরীপুরের রাজকন্যা ছিলেন তিনি। মেয়ে প্রতিমাকে সতর্ক করতেন তাঁর মা। বলতেন— নিচু শ্রেণির মানুষের ‘দেশি’ গান গাওয়া উচিত নয় রাজবাড়ির মেয়ের। কিন্তু ‘জঙ্গল-প্রাণ’ প্রকৃতিশচন্দ্র বরুয়ার মেয়ের রক্তেও ছিল বন্যতা। কলকাতার স্কুলে পড়াশোনার পর অসমে ফিরে রাজবংশী, কমতাপুরি গান আঁকড়ে ধরেন তিনি। পরে তা পরিচিতি পায় গোয়ালপড়িয়া নামে। রাজপরিবারের বর্তমান সদস্যদের দাবি, ভাষা ও অঞ্চলগত দিক থেকে প্রতিমাদেবীর গান ‘কমতাপুরিয়া’ বলাই ভাল।
পরিচালক জানিয়েছেন, ভূপেন হাজরিকার সংস্পর্শে আসার পর প্রতিমাদেবীর গান প্রচারে আসে। ভূপেনবাবু তাঁর ‘এরা বাটর সুর’ ছবিতে প্রতিমাদেবীর গান ব্যবহার করেন। ‘হস্তীর কন্যা’ নামে পরিচিত হন প্রতিমাদেবী। মাহুত, মহিষাল, নাওরিয়াদের মুখচলতি লুপ্তপ্রায় গান নতুন জীবন পায় শিল্পীর কণ্ঠে।