কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়া। —ফাইল চিত্র।
আস্থা ভোট নিয়ে চূড়ান্ত আত্মবিশ্বাসী কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়া। তাঁর দাবি, আস্থা ভোট হলে কংগ্রেস-জেডিএস জোট সরকারই থাকবে কর্নাটকে। আর সে কারণেই বিজেপি আস্থা ভোটে ভয় পাচ্ছে।
বিধায়কদের সংখ্যা-সঙ্কট নিয়ে টানাপড়েন চলছে কর্নাটকে। মামলা চলছে সুপ্রিম কোর্টে। ইস্তফা দেওয়া কংগ্রেসের ১৩, জেডিএসের ৩ জন বিধায়কের ভাগ্য ঝুলে রয়েছে স্পিকারের হাতে। এই অবস্থায় শুক্রবার বিধানসভার জরুরি অধিবেশন শুরু হয় ১১ দিনের জন্য। অধিবেশন শুরু হতেই মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী বিধানসভার স্পিকারের কাছে আর্জি জানান আস্থা ভোটের।
এর পরিপ্রেক্ষিতেই কংগ্রেস নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া বলেন, ‘‘আমরা আত্মবিশ্বাসী। সে জন্যই আমরা আস্থা ভোটের আর্জি জানিয়েছি। বিজেপি আস্থা ভোটে ভয় পাচ্ছে কারণ তারা জানে, তাদের দলের মধ্যেই প্রচুর বিধায়ক রয়েছেন যাঁরা আমাদের ভোট দেবেন।’’
আরও পড়ুন: সবাইকে চমকে এ বার আস্থা ভোট চাইলেন খোদ কুমারস্বামী!
কুমারস্বামী আস্থা ভোটের আর্জি জানানোর পরই রিসর্ট-নাটক শুরু হয়ে গিয়েছে কর্নাটকে। ইস্তফা দেওয়া বিধায়কদের একটি অংশ এখনও মুম্বইয়ের হোটেলে রয়েছেন। তাঁদের চার জনকে শুক্রবার রেনেসাঁ হোটেল থেকে বেরিয়ে সিদ্ধি বিনায়ক মন্দিরে গিয়ে পুজো দিতে দেখা গিয়েছে। বিদ্রোহীদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়া। বিজেপি শুক্রবার রাতে তাদের বিধায়কদের বেঙ্গালুরুর রামদা হোটেলে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: ২৫ লাখ দিন, ভোটে জেতাব আমরা! নেতাদের দোরে সংস্থার আনাগোনায় রহস্য
জেডিএসের দাবি, বিধানসভায় শক্তি পরীক্ষা দিতে ভয় পাচ্ছে বিজেপি। কুমারস্বামী যে বিপুল ভোটে জিতবেন, তা ভাল করেই তারা জানে। সে কারণেই বিধায়কদের হোটেলে নিয়ে যাওয়ার তড়িঘড়ি এই ব্যবস্থা।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy