যৌথ সংসদীয় কমিটির দাবিতে গলা মেলাল নবীন পট্টনায়েকের দল।—ফাইল চিত্র
এত দিন রাফাল প্রশ্নে যৌথ সংসদীয় কমিটি (জেপিসি) গড়ে তদন্ত করার দাবিতে সরব ছিল কংগ্রেস। আজ সেই দাবিতে সুর চড়াল শরিক শিবসেনা। এবং বিজেপিকে বেশ অস্বস্তিতে ফেলে একই ভাবে গলা মেলাল নবীন পট্টনায়েকের দল। সরব তৃণমূলও।
শুরু থেকেই রাফাল চুক্তি সংক্রান্ত ধোঁয়াশা কাটাতে জেপিসির দাবিতে মুখর রয়েছেন রাহুল গাঁধীরা। তাঁদের যুক্তি, বিজেপি যদি মনে করে কোনও দুর্নীতি হয়নি তা হলে তদন্তের নির্দেশ দিতে সমস্যা কী। আজ লোকসভায় একই যুক্তি দেন শিবসেনা সাংসদ অরবিন্দ সাওয়ন্ত। তাঁর কথায়, ‘‘রাফাল নিয়ে রাহুল গাঁধী কিছু প্রশ্ন করেছেন। অরুণ জেটলি তাঁর উত্তর দিয়েছেন। কিন্তু সংশয় রয়ে গিয়েছে।’’ এর পরেই তাঁর খোঁচা, ‘‘স্বচ্ছ প্রশাসন ও দক্ষ প্রশাসক রয়েছে আমাদের। তা হলে জেপিসি-কে দিয়ে তদন্ত করতে অসুবিধা কোথায়?’’
আজ রাফাল বিতর্কের শুরু থেকেই শাসক শিবিরের প্রথম সারি খালি পড়ে ছিল। নরেন্দ্র মোদী তো ছিলেনই না, বিতর্কের সময়ে গরহাজির ছিলেন, রাজনাথ সিংহ, নিতিন গডকড়ী, সুষমা স্বরাজের মতো কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরাও। প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামন থাকলেও, দুর্গ রক্ষার দায়িত্ব এসে পড়ে রাজ্যসভার দলনেতা অরুণ জেটলির উপর। যা নিয়ে কটাক্ষ করেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। বলেন, ‘‘লোকসভায় এনডিএ-র তিনশোর বেশি সাংসদ রয়েছে। অথচ রাফাল-আক্রমণ ঠেকাতে সরকারকে রাজ্যসভা থেকে মন্ত্রী ধার করে নিয়ে আসতে হয়েছে।’’ এর পরেই রাফালের দাম ও অনিল অম্বানীর বরাত পাওয়া নিয়ে সরব হন সৌগতবাবু। বিষয়টি নিয়ে তদন্তের দাবিও তোলেন তিনি।
তবে আজ রাফাল বিতর্কে সরকারকে সবচেয়ে অস্বস্তিতে ফেলেছে বিজেডি শিবির। এ যাবৎ রাফাল কেন, গত সাড়ে চার বছরে বিভিন্ন ইস্যুতে সরকারকে প্রচ্ছন্ন মদত দিয়ে এসেছে নবীনের দল। ভোট মরসুমে সেই বিজেডিও আজ রাফাল চুক্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পিছপা হয়নি।
বিজেডি সাংসদ কালিকেশ দেও বলেন, ‘‘একই বিমান কাতার কিনেছে অনেক কম দামে। কী ভাবে, জবাব দিক সরকার।’’ সরাসরি জেপিসির নাম না নিলেও, রাফাল চুক্তির বিষয়টি সংসদীয় কমিটি দিয়েই তদন্ত করানোর দাবি করেন বিজেডি সাংসদ। যদিও অরুণ জেটলি জানিয়ে দেন, ‘‘জেপিসির কোনও প্রশ্নই নেই। কারণ ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্ট এ নিয়ে সরকারকে ক্লিন চিট দিয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy