—ফাইল চিত্র।
মহারাষ্ট্রে ভোটের মুখে প্রফুল্ল পটেল আজ হাজিরা দেন ইডি-র কাছে। প্রচারের শেষ লগ্নে আজকের দিনটিকেই তাঁকে আক্রমণের জন্য বেছে নিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর। বিজেপির এই নেতা এ দিন সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ বলেন, এয়ার ইন্ডিয়াকে ধ্বংস করেছেন এই প্রাক্তন উড়ানমন্ত্রী। পঞ্জাব অ্যান্ড মহারাষ্ট্র কো-অপারেটিভ (পিএমসি) ব্যাঙ্ক কেলেঙ্কারিতেও তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত করানো জরুরি।
প্রফুল্লর নাম না-করে জাভড়েকর বলেন, ‘‘বিশেষ এক ব্যক্তি এখন ইডি-র তদন্তের মুখে পড়েছেন। পিএমসি ব্যাঙ্ক কেলেঙ্কারিতেও তাঁর ভূমিকা নিয়ে তদন্ত হওয়া উচিত। ওই কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত এক ব্যক্তির বিমান নিয়মিত ব্যবহার করতেন তিনি। মুম্বইয়ের কাছে বস্তি পুনর্বাসনের কাজই বা কে পাইয়ে দিয়েছিলেন ওই অভিযুক্তকে। তাই পিএমসি-কাণ্ডে আর কারা জড়িত, তারও তদন্ত হওয়াটা জরুরি।’’
জাভড়েকরের ইঙ্গিত এইচডিএফএল নামে একটি সংস্থার দিকে। পিএমসি ব্যাঙ্ক থেকে সংস্থাটি ৯০০০ কোটি টাকা ঋণ (ব্যাঙ্কটির মোট ঋণের প্রায় ৭০ শতাংশ) নিয়েছিল। পরে তা অনুৎপাদক সম্পদে পরিণত করে ওই ব্যাঙ্ক। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাছে তারা সেটা আড়াল করেছিল বলে অভিযোগ। বস্তি পুনর্বাসনের কাজটিও শেষ করতে পারেনি এইচডিএফএল।
এয়ার ইন্ডিয়া প্রসঙ্গে জাভডড়েকরের বক্তব্য, প্রাক্তন উড়ানমন্ত্রী প্রফুল্লই এয়ার ইন্ডিয়ার দুর্দশার মূলে। তাঁর প্রশ্ন, ‘‘১৮ হাজার কোটি টাকার একটি সংস্থার জন্য ৬০ হাজার কোটি টাকার নতুন বিমান কেনা হয়েছিল কোন বাণিজ্যিক বুদ্ধিতে? ওই বিমানগুলি তো পুরোপুরি কাজেও লাগানো হয়নি!’’
এর পরে মনমোহন সিংহকেও এক হাত নেন জাভড়েকর। তাঁর দাবি, ‘‘মনমোহনের জমানাতেই নতুন ধরনের এক ফোন ব্যাঙ্কিং শুরু হয়েছিল। ফোন কলের ভিত্তিতে বিপুল ঋণ মঞ্জুর হয়ে যেত, আর তা গায়েব করা হত। এ ভাবেই ব্যাঙ্কগুলি দেউলিয়া হয়েছে।’’ এনসিপির প্রতিষ্ঠাতা শরদ পওয়ার সম্পর্কে জাভড়েকরের কটাক্ষ, ‘‘এত দিন তিনি অন্যের দল সামলাতেন। এখন নিজের দলটাই সামলাতে পারছেন না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy