মহাত্মা গাঁধী।
বাড়িতে শৌচাগার না থাকায় প্রকাশ্যে মলত্যাগ করার ‘অপরাধে’ ২৫ সেপ্টেম্বর মধ্যপ্রদেশে খুন হল দুই দলিত শিশু। আর তার ঠিক সাত দিন পরে, ২ অক্টোবর নিজের রাজ্য গুজরাতে দাঁড়িয়ে গোটা দেশকে প্রকাশ্য শৌচমুক্ত ঘোষণা করার পরিকল্পনা করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
আগামী বুধবার মোহনদাস কর্মচন্দ গাঁধীর জন্মদিন। ওই দিন গুজরাতে যাবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই সাবরমতীর তীরে জড়ো করা হচ্ছে দেশের প্রায় ২০ হাজার পঞ্চায়েতের প্রধানকে। বিজেপি নেতারা জানাচ্ছেন, ২০১৪-য় প্রথম বার কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পরেই প্রধানমন্ত্রী লালকেল্লা থেকে ঘোষণা করেছিলেন, পাঁচ বছরে দেশকে প্রকাশ্য শৌচমুক্ত করা হবে। গত পাঁচ বছরে দেশে দশ কোটির বেশি শৌচালয় তৈরি হয়েছে। ৬ লক্ষ গ্রামকে প্রকাশ্যে শৌচমুক্ত ঘোষণাও করা হয়েছে। ফলে মধ্যপ্রদেশে যা-ই ঘটুক, ২ অক্টোবর গাঁধীর দেড়শো-তম জন্মবার্ষিকীতে দেশকে প্রকাশ্য শৌচ-মুক্ত ঘোষণা করবেন প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে গাঁধীর চশমা নিয়ে প্রকল্পের প্রচার করেছেন মোদী। খাদির ক্যালেন্ডারে গাঁধীর বদলে নিজেই চরকা কেটেছেন। সর্দার পটেলের পরে গাঁধীকেও কংগ্রেসের থেকে কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন মোদী এবং বিজেপির শীর্ষ নেতারা। সেটি আটকাতেই এ বারে সনিয়া গাঁধীর নেতৃত্বে কংগ্রেসও নেমে পড়েছে গাঁধীর দেড়শো-তম জন্মদিন পালনে। সনিয়া নিজে ২ অক্টোবর দিল্লিতে এক পদযাত্রায় পা মেলাবেন। রাহুল গাঁধী ভোটমুখী মহারাষ্ট্র ও প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা থাকবেন লখনউতে। শুধু সে দিনই নয়, টানা এক সপ্তাহ ধরে কংগ্রেস পদযাত্রা ছাড়াও স্বচ্ছতা অভিযানে সামিল হবে। নেতা-কর্মীরা ঘুরবেন দলিত মহল্লায়।
কংগ্রেসের গাঁধী-কর্মসূচির পাল্লা দিতে বিজেপি আরও বড় আকারে রাস্তায় নামছে। নেতারা জানিয়েছেন, ৩০ জানুয়ারি, গাঁধীর মৃত্যুদিন অবধি স্বচ্ছতা অভিযান চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে দল। মোদীর নির্দেশে ১৫ দিনে ১৫০ কিলোমিটার হেঁটে দলের সব স্তরের নেতা-মন্ত্রী-সাংসদ-বিধায়কেরা ‘সংকল্প যাত্রা’ করে ৩ লক্ষ গ্রাম ছুঁয়ে বার্তা দেবেন গাঁধীকে নিয়ে। সেই যাত্রায় তাঁদের পরতে হবে খাদির পোশাক ও গাঁধী টুপি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy