ফাইল চিত্র।
চব্বিশের লোকসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করা নিয়ে বিজেপি ঘনিষ্ঠ শিবির থেকে দাবিদাওয়াও উঠছে।
এরই মধ্যে ব্যক্তি আইন বা পার্সোনাল ল’ নিয়ে বিজেপি নেতা সুশীল মোদীর নেতৃত্বে আইন-বিচার মন্ত্রকের সংসদীয় স্থায়ী কমিটি আলোচনা শুরু করে দিল। সূত্রের খবর, আজ দিল্লিতে আইন-বিচার মন্ত্রকের বিধি বিভাগের সচিব রীতা বশিষ্ঠ দেশে যে সমস্ত ব্যক্তি আইন চালু রয়েছে, তা নিয়ে কমিটিকে জানান। এ বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে সুপ্রিম কোর্ট কী রায় দিয়েছে, তা নিয়েও সাংসদদের জানানো হয়।
সূত্রের খবর, আইন মন্ত্রকের তরফে একটি নথি তৈরি করে সংসদীয় স্থায়ী কমিটিকে জানানো হয়েছে, যদি জনসংখ্যার একটা বড় অংশ চালু আইনে সংশোধন চায় বা নতুন আইন তৈরির দাবি জানায়, তখনই দেওয়ানি বিধির পর্যালোচনা করার পদক্ষেপ করা যায়। এ দেশে বিবাহ, বিবাহবিচ্ছেদ, উত্তরাধিকার সংক্রান্ত ব্যক্তিগত বিষয়ে হিন্দু, মুসলিম, খ্রিস্টানদের জন্য পৃথক পৃথক আইন রয়েছে। বিজেপি নীতিগত ভাবে এই সমস্ত ব্যক্তি আইন বা দেওয়ানি বিধি তুলে দিয়ে একটিই দেওয়ানি বিধি চালু করার পক্ষে। কিন্তু তাতে মুসলিম-সহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের আপত্তি রয়েছে। কারণ তা হলে হিন্দু রীতিনীতি বাকিদের উপরে চাপিয়ে দেওয়ার আশঙ্কা থাকে।
উত্তরাখণ্ডের মতো বিজেপি শাসিত রাজ্যে ইতিমধ্যেই রাজ্য স্তরে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করার বিষয়ে সরকারি স্তরে কাজকর্ম শুরু হয়েছে। সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ইতিমধ্যেই গোয়ায় ঘুরে এসেছে। কারণ গোয়ায় পর্তুগিজ আমল থেকে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু রয়েছে। বিরোধীরা মনে করছেন, আইন মন্ত্রকের সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে বিজেপি সাংসদরাই সংখ্যায় বেশি। সেই গরিষ্ঠতা কাজে লাগিয়ে স্থায়ী কমিটি যদি অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করার সুপারিশ করে, তা মোদী সরকারের জন্য বড় হাতিয়ার হয়ে উঠতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy