‘আন্তর্জাতিক মিউজ়িয়াম এক্সপো’র উদ্বোধনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি: পিটিআই।
বিজেপি সরকার আসার পরেই এই দেশে ঐতিহ্যের সংরক্ষণ শুরু হয়েছে বলে দাবি করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজ দিল্লির প্রগতি ময়দানে ‘আন্তর্জাতিক মিউজ়িয়াম এক্সপো’র উদ্বোধন করে তিনি বলেন, “ভারতের প্রাচীন স্থাপত্য, নথি, পাণ্ডুলিপি নষ্ট করেছে বা জ্বালিয়ে দিয়েছে দেশেই বিভিন্ন সময়ে ক্ষমতায় থাকা শক্তি। স্বাধীনতার পরে এই সব নথির সংরক্ষণও ঠিক ভাবে হয়নি।” মোদীর আরও দাবি, এত দিন পরে ভারতের নানা ঐতিহ্যশালী সম্পদ ফিরিয়ে দিতে শুরু করেছে বিভিন্ন দেশ।
১৮ মে আন্তর্জাতিক সংগ্রহশালা দিবস উপলক্ষে সংস্কৃতি মন্ত্রকের উদ্যোগে তিন দিনের এই আয়োজনের মূল সুরটি হল সংগ্রহশালাগুলিকে সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের চেহারা দেওয়া। মঞ্চে আজ সাংস্কৃতিক জাতীয়তাবাদকে উজ্জীবিত করতে চেয়েছেন মোদী। জনজাতির সাংস্কৃতিক বৈচিত্রের কথা বলেছেন। তাঁর নির্দেশে সংস্কার হওয়া ‘কর্তব্য পথ’ (রাজপথের নাম বদলে)-এর একটি পকেট মানচিত্রের উদ্বোধন করেছেন। নর্থ ব্লক এবং সাউথ ব্লকে প্রস্তাবিত সংগ্রহশালার একটি ‘ভার্চুয়াল ওয়াক থ্রু’ (ঝলক)-এর পর্দা উন্মোচনও করেছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর কথায়, “বাবাসাহেব আম্বেডকরের মহানির্বাণ স্থলে আমরা জাতীয় মিউজ়িয়াম গড়েছি, লন্ডনে তাঁর দীক্ষাভূমিতে স্মারক তৈরি হয়েছে, গোয়ায় খ্রিস্টানদের সংগ্রহশালা, সর্দার বল্লভভাইয়ের স্ট্যাচু অব ইউনিটি, দিল্লিতে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীদের সংগ্রহশালা আমরা বানিয়েছি।” স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসবের সঙ্গে নতুন সাংস্কৃতিক পরিকাঠামোকে আজ তাঁর বক্তৃতায় সংযুক্ত করতে চেয়েছেন মোদী। বলেছেন, “এই অনুষ্ঠান ভারতের সংগ্রহশালার জগতে (‘মিউজ়িয়াম ওয়ার্ল্ড’) মাইলফলক হয়ে উঠবে। ঔপনিবেশিক শক্তির কারণে ভারতের অনেক ক্ষতি হয়েছে। বিগত ৯ বছরে প্রায় ২৪০টি প্রাচীন নিদর্শন ভারতে ফেরানো হয়েছে। কিন্তু ২০১৪ সালেরআগে (কংগ্রেস জমানা) এই ফিরে পাওয়ার সংখ্যা কুড়িতেও পৌঁছয়নি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy