Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪
National News

কমিশনের ‘দুর্বল’ শাস্তি, কুকথাই কৌশল বিজেপির

বিরোধীদের আশঙ্কা, কমিশনের দুর্বল পদক্ষেপে শাহিন বাগকে ঘিরে মেরুকরণের উদ্দেশ্যে বিজেপি সাম্প্রদায়িক প্রচার বাড়াবে।

ছবি: সংগৃহীত।

ছবি: সংগৃহীত।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ৩০ জানুয়ারি ২০২০ ০৩:০৩
Share: Save:

লাগাতার কুকথা বলে চলায় দলের তারকা প্রচারকের তালিকা থেকে মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর ও সাংসদ প্রবেশ বর্মাকে সরিয়ে দিতে বিজেপিকে নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন। প্রতিদ্বন্দ্বীদের অভিযোগ, দিল্লিতে ভোটের মেরুকরণ করতে সাম্প্রদায়িক কুকথার প্রতিযোগিতায় নেমেছেন বিজেপি নেতারা। নির্বাচন কমিশন আজ পদক্ষেপ করলেও, ভোট শেষ না হওয়া পর্যন্ত মেরুকরণের রাস্তা থেকে সরে আসার কোনও পরিকল্পনা নেই বলেই বুঝিয়ে দিয়েছেন তাঁরা।

‘দেশের গদ্দার’দের গুলি করে মারার কথা বলে আগেই নোটিস পেয়েছিলেন অনুরাগ ঠাকুর। সাংসদ প্রবেশ বর্মা নোটিস পান শাহিন বাগের বিক্ষোভকারীদের সম্পর্কে কুকথা বলে। নোটিস পাওয়া সত্ত্বেও কুকথা বলে চলায় আজ ওই দুই বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় কমিশন। কিন্তু আজ কমিশন যে শাস্তি ঘোষণা করেছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। আপ শিবিরের মতে, ওই সিদ্ধান্তে অনুরাগ বা প্রবেশের নির্বাচনী প্রচার আটকাবে না। কেবল তাঁদের প্রচারের জন্য খরচ হওয়া অর্থ গুনতে হবে দলের প্রার্থীকে। নির্বাচনের সময়ে প্রতিটি দলই তাদের তারকা প্রচারকের একটি তালিকা নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়। নিয়ম অনুসারে ওই প্রচারকদের প্রচারের সব খরচ দল বহন করে। এখন কমিশনের নির্দেশের পরে অনুরাগ ও প্রবেশ যেখানে প্রচার চালাবেন, সেই খরচ গুনতে হবে বিধানসভায় দলীয় প্রার্থীকে। পার্থক্য এটুকুই।

বিরোধীদের আশঙ্কা, কমিশনের ওই দুর্বল পদক্ষেপে শাহিন বাগকে ঘিরে মেরুকরণের উদ্দেশ্যে বিজেপি সাম্প্রদায়িক প্রচার বাড়াবে। আশঙ্কা সত্যি করে আজ বিজেপির জাতীয় সচিব তরুণ চুঘ টুইট করেন, ‘‘দিল্লিকে সিরিয়া হতে দেব না। আইএসের মতো মডিউল চলতে দেব না।’’ দিল্লি বিজেপির সভাপতি মনোজ তিওয়ারি বলেন, ‘‘নাগরিকত্ব আইন নিয়ে মিথ্যা প্রচার চালানো হচ্ছে। অবরোধকারীদের ভুল বুঝিয়ে রাস্তা দখল করে বসিয়ে রাখা হয়েছে।’’

আরও পড়ুন: ‘মোদীজি, আমি কি হাঁটতে পারি? নাকি সেটাও নিষিদ্ধ!’, কটাক্ষ কুণালের

আপ শিবিরের অভিযোগ, ভোটের আগে শাহিন বাগ খালি করতে গেলে ঝামেলা হতে পারে। তাতে অস্বস্তি বাড়বে বিজেপির। তাই অমিত শাহের নির্দেশে দিল্লি পুলিশ হাত গুটিয়ে বসে আছে। ৮ ফেব্রুয়ারি ভোট মিটলেই পুলিশ গিয়ে তুলে দেবে শাহিন বাগের প্রতিবাদীদের, এমন আশঙ্কাও ছড়িয়েছে। পুলিশি পদক্ষেপের প্রশ্নে কিছু না বললেও মনোজ তিওয়ারির কথায়, ‘‘১১ ফেব্রুয়ারি ভোটের ফল বেরোলেই বিরোধীরা চুপসে যাবে। পিছন থেকে হাত সরে গেলে আন্দোলনকারীরা নিজেরাই উঠে যাবেন।’’ সূত্রের খবর, ভোটের ফল যা-ই হোক, ৯-১২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শাহিন বাগ খালি করতে কড়া পদক্ষেপ করতে পারে দিল্লি পুলিশ।

বিতর্কিত সাংসদ প্রবেশ বর্মা ইতিমধ্যে পুলিশে অভিযোগ করেছেন যে, উড়ো ফোনে খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে তাঁকে। টুইটারে তাঁর দাবি, আজ সকাল ৮টা ১১ এবং বিকেল ৫টা ২৪ মিনিটে ফোনগুলি আসে।

আর্জি আপের: অমিত শাহের ভোট-প্রচারের উপরে ৪৮ ঘণ্টার নিষেধাজ্ঞা চাপানোর আর্জি নিয়ে নির্বাচন কমিশনে গেল আপ। তাদের অভিযোগ, দিল্লির সরকারি স্কুলগুলির ‘দুরবস্থা’ নিয়ে একটি ভুয়ো ভিডিয়ো টুইট করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিন বিজেপি সাংসদ প্রবেশ বর্মা, গৌতম গম্ভীর এবং হংস রাজ হংস স্কুলগুলির ভুয়ো ভিডিয়ো বানিয়েছেন বলেও আপের অভিযোগ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE