রজনীকান্ত
পৃথিবী থেকে সব বদলোক হটাতে আসছেন যমরাজ। রুপোলি পর্দায় আছড়ে পড়বেন থালাইভা। ছবির নাম ‘কালা, কারিকালান’। বাংলায়, ‘যম’। সদ্য রিলিজ হয়েছে ফার্স্ট লুক। ছবির পোস্টারও পড়ে গিয়েছে দক্ষিণে। নামভূমিকায় মেগাস্টার রজনীকান্ত।
কিন্তু তিনি রাজনীতিতে আসছেন কবে? দিন কয়েক আগে সেই জল্পনা নিজেই বাড়িয়ে দিয়েছিলেন রজনীকান্ত। বলেছিলেন, ‘‘ঝড়ের জন্য তৈরি থাকুন।’’ আর সেই বার্তা যে নিছক ছবির প্রচারে নয়, তা বিলক্ষণ জানে রাজনীতির দুনিয়া।
কারণ, বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে কয়েক দফায় আলোচনা হয়েছে রজনীর। সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার কথা জানান ঘনিষ্ঠ মহলেও। কিন্তু কী ভাবে? নতুন দল গড়ে? নাকি বিজেপিতেই আসছেন থালাইভা! ঘনিষ্ঠ মহলে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ বলেন, ‘‘সেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে রজনীকান্তকেই।’’ রাজ্য বিজেপি নেতারা চাইছেন, এক বার নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করে এই তারকা পাকাপাকি আসুন বিজেপিতেই। তাঁদের মতে, নতুন দল গড়ার থেকে বিজেপির সংগঠনকে কাজে লাগিয়ে এ বার তাঁর উত্থান সম্ভব। যদিও কংগ্রেসের আশা, বিজেপিতে যোগ না দিয়ে নতুন দলই গড়বেন রজনীকান্ত।
জয়ললিতার মৃত্যুর পর তামিলনাড়ুতে এখন নেতৃত্বের সঙ্কট। রজনী-ভক্তদের দাবি, এই ‘শূন্যস্থান’ পূরণ করতে পারেন তিনিই। এর আগে তামিলনাড়ু গিয়ে যে মোদী রজনীকান্তের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। তাই সন্দেহ নেই, কোনও না কোনও ভাবে বিজেপির সঙ্গেই থাকবেন থালাইভা। দক্ষিণে বিজেপি এখনও সে ভাবে দাঁত ফোটাতে পারেনি। জয়ললিতার জমানায় এডিএমকে ‘বন্ধু’ দল ছিল। কিন্তু একক ভাবে বিজেপির শক্তি বাড়েনি। সনিয়া গাঁধীর আমন্ত্রণে ১৭ বিরোধী দলের জোটে কানিমোঝি যে ভাবে শরিক হয়েছেন, তার পর এডিএমকে-র দুই শিবিরকে পাশে পাওয়া নিয়ে আর কোনও সংশয় নেই অমিত শাহদের। নেতাদের তিনি জানিয়েও দিয়েছেন, সনিয়া কানিমোঝিকে পাশে বসিয়ে গোটা এডিএমকে-কেই বিজেপির ঝুলিতে পুরে দিয়েছেন।
কিন্তু নিজেদের শক্তি বাড়াতে এ বার রজনীর দিকেই তাকিয়ে বিজেপি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy