প্রতিবাদ মিছিলে পুলিশবাহিনীর ঘোড়া শক্তিমানের উপর নির্মম অত্যাচার চালানোর অভিযোগে মুসৌরির পটেল নগরের হোটেল থেকে গ্রেফতার করা হল উত্তরাখণ্ডের বিজেপি বিধায়ক গণেশ জোশীকে। একই অভিযোগে গত কাল নৈনিতাল থেকে ধরা হয়েছে এক বিজেপি কর্মী প্রমোদ বরাকেও।
দিন চারেক আগে ওই মিছিলে ঘোড়াটির পা জখম করার অভিযোগ উঠেছিল গণেশের বিরুদ্ধে। ১৪ মার্চের ওই বিক্ষোভে উত্তরাখণ্ডের কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিল বিজেপি। সেখানে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। অভিযোগ, পুলিশের লাঠি কেড়ে নিয়ে বিধায়ক গণেশ জোশী শক্তিমানকে পেটান। তাতেই পা ভেঙে যায় ঘোড়াটির।
পুলিশ জানিয়েছে, তাঁকে নিষ্ঠুরতা ও পশুকে পঙ্গু করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। যদিও গণেশ জোশী এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, ‘‘আমি কংগ্রেস সরকারের রোষের শিকার। মানবিকতার খাতিরে ঘোড়াটিকে দেখতেও গিয়েছিলাম। ওকে আঘাত করিনি। বিক্ষোভের মধ্যে পড়ে নিরপরাধ একটি পশু আহত হয়েছে।’’
গণেশের গ্রেফতারি নিয়ে উত্তরাখণ্ড বিধানসভার বিরোধী নেতা ও বিজেপি সদস্য অজয় ভট্টের দাবি, ‘‘এটা অপহরণ। যে ভাবে ওঁকে বিনা উর্দিতে হোটেল থেকে তুলে নিয়ে গিয়েছে পুলিশ, তা অপহরণ ছাড়া আর কী!’’ এ ব্যাপারে তিনি রাজ্যপালের কাছে অভিযোগ জানাবেন। গত কাল ওই জখম ঘোড়াটির পা কেটে বাদ দিতে হয়েছে। চিকিৎসকেরা জানান, এ ছাড়া উপায় ছিল না। ফের যাতে সে চলাফেরা করতে পারে তার জন্য কৃত্রিম পা দেওয়া হয়েছে শক্তিমানকে। ঘটনার তিন দিন পরে এখন সে উঠে দাঁড়াতে পারছে। কিন্তু চিকিৎসকরা এখন বুঝতে পারছেন না যে চার কুইন্টাল ওজনের শক্তিমান ওই কৃত্রিম পা নিয়ে কত ক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে পারবে। এর আগে যে সব ঘোড়ার উপরে এই ধরনের অস্ত্রোপচার করা হয়েছে তাদের ওজন দু’কুইন্টালের বেশি নয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তাই পশুপ্রেমীদের মধ্যে অনেকেই বলছেন, শক্তিমানের কষ্ট যেন আরও বেড়ে না যায়।