বছরের শেষে বিহারে ভোট। আর এ বছরই জরুরি অবস্থা জারির পঞ্চাশ বছর পূর্তি হয়েছে। তাই আসন্ন বিহার বিধানসভা ভোটে জরুরি অবস্থার পঞ্চাশ বছর পূর্তিকে হাতিয়ার করে ভোট প্রচারে নামার পরিকল্পনা নিলেন বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপি সূত্রের মতে, জরুরি অবস্থায় ঠিক কী হয়েছিল, কারা জেলে গিয়েছিলেন, কেন সরকার জরুরি অবস্থা জারি করেছিল, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জরুরি অবস্থার প্রতিবাদে হওয়া আন্দোলনে ভূমিকা কেমন ছিল— এই সব বিষয় লিফলেটের মাধ্যমে বিহারের ঘরে-ঘরে প্রচার চালাবে দল।
রাজনীতিকদের মধ্যে ওই প্রচারের মাধ্যমে এক দিকে যেমন জরুরি অবস্থার বিরুদ্ধে যে প্রতিবাদী আন্দোলন হয়েছিল এবং তাতে যে নরেন্দ্র মোদী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন, তা বিহারবাসীকে জানানো সম্ভব হবে। তেমনই অন্য দিকে বিজেপির লক্ষ্য, জরুরি অবস্থা নিয়ে প্রচারের সুর চড়িয়ে লালুপ্রসাদ যাদব তথা বিহারে এনডিএ-র প্রধান বিরোধী দল আরজেডিকে অস্বস্তিতে ফেলা। কারণ, সে সময়ে জয়প্রকাশ নারায়ণের অনুরাগী হিসাবে কংগ্রেসের জরুরি অবস্থা জারির সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় পথে নেমে জেলে গিয়েছিলেন সে সময়ের তরুণ উঠতি নেতা লালুপ্রসাদ।
কিন্তু পরবর্তী সময়ে বিজেপিকে রোখার প্রশ্নে সেই লালুপ্রসাদই হাত মিলিয়েছেন কংগ্রেসের সঙ্গে। ইউপিএ জমানায় রেলমন্ত্রীও হন লালুপ্রসাদ। বর্তমানে বিহারে আরজেডির অন্যতম সহযোগী কংগ্রেস। অতীতে কংগ্রেসের বিরোধিতা করে জেল খাটা লালুপ্রসাদ আজ কী ভাবে সেই কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে চলতে পারেন, সে বিষয়টি নিয়ে রাজ্য জুড়ে প্রচার চালিয়ে আরজেডি ও কংগ্রেস নেতৃত্বের মধ্যে ভোটের আগে ব্যবধান তৈরি করাই লক্ষ্য বিজেপির।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)