অবৈধ ভোটার চিহ্নিত করতে দলের বুথ লেভেল এজেন্টদের (বিএলএ)-দের উপরে ভরসা করছেন বিজেপি নেতৃত্ব। দল মনে করছে, ঠিক ভাবে এগোলে রাজ্যে প্রায় দু’কোটির কাছাকাছি ভুয়ো ভোটারকে তালিকা থেকে বাদ দেওয়া সম্ভব হবে, যাঁদের অধিকাংশই তৃণমূলের ভোটার। যদিও রাজ্য জুড়ে বিজেপির বিএলএ রয়েছেন কি না, তা নিয়েই শাসক দল কটাক্ষ করেছে।
গত কাল ঝাড়গ্রামের সভা থেকে কমিশনকে সরাসরি নিশানা করে মমতা বলেছিলেন, (কমিশন) অমিত শাহের দালালি করছে। যা নিয়ে অভিযোগ জানাতে আজ পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি সাংসদেরা নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকের শেষে শমীক বলেন, ‘‘যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় এক জন প্রশাসনিক প্রধান হয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যে ভাবে সাংবিধানিক সংস্থাকে চ্যালেঞ্জ করছেন তা বিপজ্জনক।’’ ভোটের তালিকা সংশোধন নিয়ে নিয়োগরত সরকারি কর্মীদের শীর্ষ তৃণমূল নেতৃত্ব যেহুমকি দিয়েছেন, কমিশনকে তা-ও জানানো হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গে এ বার ভুয়ো ভোটারমুক্ত তালিকা দিয়ে ভোট হবে বলে দাবি বিজেপির। বিজেপির এক সাংসদ বলেন, বিএলএ-রা স্থানীয় হওয়ার সুবাদে সকলকে চেনেন। তাই তাঁরাই স্থানীয় পর্যায়ে অবৈধ ভোটারদের চিহ্নিত করে দেবেন। বিজেপির অনুমান, শুধুমাত্র উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা এবং কলকাতা মিলিয়েই এক কোটি এবং গোটা রাজ্যে প্রায় দু’কোটি ভুয়ো ভোটার বাদ যেতে পারে। তাই গত কাল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের বাড়িতে বৈঠকে রাজ্যে তালিকা পরিমার্জন শুরুর আগেই বুথভিত্তিক কমিটি গড়ার উপরে জোর দেওয়া হয়েছে।
মেরুকরণের হাওয়ায় গতি আনতে রাজ্য জুড়ে ১৪ অগস্ট বিভাজন বিভীষিকা স্মৃতি দিবস পালন, জনসংযোগ বাড়াতে ১৫ অগস্ট তিরঙ্গা যাত্রা ও এলাকাভিত্তিক ফুটবল প্রতিযোগিতা করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সাংসদদের। ২০১৪ সালের আগে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে আসা হিন্দুদের নাগরিকত্ব পাওয়ার আবেদন জানাতে রাজ্য জুড়ে শিবির করার পরিকল্পনাও নিয়েছেন রাজ্যবিজেপি নেতৃত্ব।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)