গৌতম আদানির হাতে ছ’টি বিমানবন্দর তুলে দেওয়ার ফলে তাঁর শিল্পগোষ্ঠীর মুনাফা বাড়লেও যাত্রীদের বিশেষ সুরাহা হয়নি— আজ সংসদের পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির (পিএসি) বৈঠকে বিমান মন্ত্রকের কর্তাদের সামনে এই অভিযোগে সরব হলেন বিজেপি-র সদস্যরাও। রাজনৈতিক সূত্রে এই খবর পাওয়া গিয়েছে।
কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব তথা রাহুল গান্ধী গত বছর লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকেই মোদী জমানায় আদানির উত্থান এবং আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ নিয়ে সংসদে আলোচনার দাবি তুলেছেন। সূত্রের খবর, আজ পিএসি বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন বিজেপি-র সি এম রমেশ, রবিশঙ্কর প্রসাদ, কংগ্রেসের অমর সিংহের মতো সাংসদরা।
রমেশই বলেছেন, ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে আদানি গোষ্ঠী ৬টি বিমানবন্দরের উন্নয়নে খরচ করেছে ৬২০০ কোটি টাকা। কিন্তু লাভ করেছে ১৪ হাজার কোটি টাকা। এই বিপুল মুনাফার কোনও সুবিধে যাত্রীরা পাননি। যাত্রীদের টিকিট ভাড়ার মধ্যে এয়ারপোর্ট চার্জ-এর যে অংশ থাকে, তা আদানি পরিচালিত বিমানবন্দরগুলিতে অনেকটাই বেশি। পাশাপাশি বিমানবন্দরগুলি আদানি নেওয়ার পর যাত্রীদের বিভিন্ন খাতে খরচ অনেকটাই বেড়েছে। মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে নিয়ম বদল করে আদানিকে মুম্বই বিমানবন্দর পরিচালনার বরাত দেওয়া হয়, কোনও পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও। এখন আদানির দায়িত্বপ্রাপ্ত আমদাবাদ, মুম্বই, তিরুঅনন্তপুরম, জয়পুর, গুয়াহাটি থেকে দেশের ২৪% যাত্রী, ৩১% পণ্য চলাচল করে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)