এত দিন নরেন্দ্র মোদী সরকার দেশের যাবতীয় সমস্যার জন্য প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুকে দোষারোপ করত। এ বার ‘ভোট চুরি’ নিয়ে প্রশ্নের মুখেও বিজেপি নেহরুকে টেনে আনল!
রাহুল গান্ধী ভোটার তালিকায় কারচুপি, ভুয়ো ভোটারের অভিযোগ তুলছিলেন। বিজেপির পাল্টা, রাহুল, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, অখিলেশ যাদবের লোকসভা কেন্দ্রেও ভুয়ো ভোটারের অভিযোগ রয়েছে। জবাবে কংগ্রেস থেকে তৃণমূল এক সুরে দাবি তুলেছে, যদি ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচন ভুয়ো ভোটারের ভিত্তিতে হয়ে থাকে, তা হলে বর্তমান লোকসভা ভেঙে দেওয়া হোক। নতুন করে নির্বাচন হোক। অভিষেক বলেছেন, ‘‘লোকসভা ভেঙে দেওয়া হোক। আমরা সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেব। আগামী বছর পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন। ভোটের জন্য তৈরি।’’
চাপের মুখে আজ বিজেপি নেহরুকে টেনে এনেছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গজেন্দ্র সিংহ শেখাওয়াতের অভিযোগ, নেহরুর নেতৃত্বে ১৯৫২ সালের প্রথম লোকসভা নির্বাচনে ব্যালট বাক্সে অ্যাসিড ঢেলে দেওয়া হয়েছিল। তার পরেও নেহরু-গান্ধী পরিবার ক্ষমতায় ছিল। তাঁর অভিযোগ, ইন্দিরা গান্ধী অনৈতিক ভাবে ভোটে জিতেছিলেন বলে ইলাহাবাদ হাই কোর্ট তাঁর নির্বাচন খারিজ করে দিয়েছিল। রাজীব গান্ধীর নেতৃত্বে কংগ্রেস অমেঠীতে প্রকাশ্যে বুথ দখল করেছিল।
আসলে রাহুল কর্নাটকের একটি বিধানসভা কেন্দ্রে ভুয়ো ভোটারের অভিযোগ তুলেছিলেন। তার জবাব দিতে গিয়ে বিজেপির অনুরাগ সিংহ ঠাকুর রাহুল, অখিলেশ, অভিষেকের কেন্দ্রে ভুয়ো ভোটারের অভিযোগ তুলেছেন। আজ অভিষেকের প্রতিনিধি অনুরাগের বাসভবনে গিয়ে সঠিক তথ্য সম্বলিত নথি দিয়ে আসেন। অভিষেক বলেন, ‘‘রাহুল গান্ধীকে বলেছি, বর্তমান মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারের সঙ্গে সঙ্গে প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমারের দিকেও প্রশ্ন তুলতে হবে। যাঁর আমলে গত লোকসভা ভোট হয়েছিল। বারাণসীতে ভুয়ো ভোটারের দিকটিও দেখতে বলেছি।’’
কংগ্রেসের পবন খেরার কটাক্ষ, ‘‘প্রধানমন্ত্রী যেখানে রয়েছেন, সেখানে থাকার যোগ্য নন। কারণ তিনি কোনও মতে বারাণসীতে জিতেছিলেন। ভুয়ো ভোটারের ‘বুস্টার ডোজ়’ ছাড়া জিততে পারতেন না।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)