নরেন্দ্র মোদী সরকারের সংস্কারমুখী পদক্ষেপের বিরোধিতার পথ না পেয়ে ফাঁপরে পড়েছে কংগ্রেস। এই পরিস্থিতিতে ইউপিএ-র ভাবনা চুরির অভিযোগ তুলে বিজেপিকে ভণ্ড প্রমাণের কৌশল নিলেন সনিয়া গাঁধী।
লোকসভায় আজ বিচারপতি নিয়োগ সংক্রান্ত বিল পাশ হয়েছে। বাজেট অধিবেশনের শেষ দিনে, কাল রাজ্যসভাতেও তা পাশ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা। চাইলেও কংগ্রস এর বিরোধিতা করতে পারছে না। যেমন পারছে না বিমা বা সেবি আইন সংশোধনের বিল বা রেল বাড়া বৃদ্ধির মতো সংস্কারমুখী পদক্ষেপগুলিতে। কারণ এক সময় ইউপিএ সরকারই এ সবের জন্য চেষ্টা চালিয়েছে।
এখন ক্ষমতায় এসে বিজেপি এ সবের জন্য রাজনৈতিক কৃতিত্ব নিয়ে যাবে, সেটাও মানা সম্ভব নয়। সে জন্যই কংগ্রেস সভানেত্রী ইউপিএ-র ভাবনা চুরির অভিযোগ আনলেন। তাঁর কথায় “ইউপিএ সরকারের ভাবনাগুলিই চুরি করছে এনডিএ। দেশকে নতুন কিছু দেওয়ার ক্ষমতা নেই এই সরকারের।” নরেন্দ্র মোদীর জমানায় সংসদের প্রথম বাজেট অধিবেশন শেষ হবে কাল। তার আগে কংগ্রেস সংসদীয় দলের বৈঠকে সনিয়া বলেন, “ইউপিএ-র কর্মসূচি ওরা অনুকরণ করুক ক্ষতি নেই। বরং এর মাধ্যমে ওরা কংগ্রেসকে সম্মানিতই করছে। তা ছাড়া, মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ থেকে শুরু করে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে না পারার জন্য ওদের ব্যর্থতা নিয়ে কংগ্রেসকে দোষারোপ করুক, তাতেও আপত্তি নেই। কিন্তু আমরাও দেখতে চাই, এ ভাবে ক’দিন ওরা মানুষকে বোকা বানাতে পারে।”
সাম্প্রদায়িক হিংসা নিয়ে গত কাল কেরলে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে ঝাঁঝালো আক্রমণ শানিয়েছেন সনিয়া। ২৪ ঘণ্টা না কাটতেই আজ তাঁর বক্তব্য, বিজেপি আগে যে সব কাজ রুখেছে, তাদের সরকার এখন সেই কাজই করছে। সনিয়ার কথায়, “কেন্দ্রে নতুন সরকার এখন পণ্য পরিষেবা কর, চিনিতে ভর্তুকি, রেল ভাড়া ও ডিজেলের দাম বাড়ানো, বিমা ক্ষেত্রে বিদেশি বিনিয়োগের মতো প্রস্তাবকে সমর্থন করছে। অথচ ইউপিএ জমানায় এই সব প্রস্তাবে তাঁরা শুধু আপত্তি করেনি, দিনের পর দিন সংসদে বাধা তৈরি করেছে। এতে ওদের ভণ্ডামিটাই স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে।” সনিয়ার এই আক্রমণের জবাব দিতে ছাড়েনি বিজেপি। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর এ দিন বলেন, “সনিয়া গাঁধী বা কংগ্রেস নেতারা হয়তো বাজেটটা ভাল করে পড়েননি। সেখানে একাধিক নতুন প্রস্তাব রয়েছে। কর্মসংস্থানের সুযোগ ও উৎপাদন বাড়ানোর বিভিন্ন দাওয়াই দেওয়া হয়েছে।” এই সূত্রে জাভড়েকরের প্রশ্ন, “নতুন সরকারের মেয়াদ মাত্র দু’মাস হয়েছে। তার মধ্যেই কংগ্রেস এত অসহিষ্ণু হয়ে পড়ছে কেন? ওদের এ-ও বোঝা উচিত যে ইউপিএ-র ভুলগুলি শোধরাতেও খানিকটা সময় লাগবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy