শিবসেনার সঙ্গে মিলেই মহারাষ্ট্রে ফের সরকার গড়তে চাইছে বিজেপির একাংশ।—ছবি পিটিআই।
চলতি বছরের মাঝামাঝি শিবসেনার সঙ্গে মিলেই মহারাষ্ট্রে ফের সরকার গড়তে চাইছে বিজেপির একাংশ। এর আগে শিবসেনাকে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি ছাড়তে রাজি হয়নি বিজেপি। এ বারে তারা জানে, উদ্ধব ঠাকরেকে মুখ্যমন্ত্রীর গদির ভাগ দিতেই হবে।
বিজেপির এক নেতার কথায়, ‘‘মুম্বই দেশের আর্থিক রাজধানী। তার উপর নিয়ন্ত্রণ জরুরি। আপাতত উদ্ধবের নেতৃত্বে শিবসেনা-কংগ্রেস-এনসিপি জোটের সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করেছে বিধানসভায়। ছয় মাস সরকারের কোনও বিপদ নেই। কিন্তু চলতি বছরের মাঝামাঝি ফের সরকার গড়ার চেষ্টা হবে।’’ জোট সরকার হয়েছে মাত্র দেড় মাস আগে। কিন্তু এর মধ্যেই নানা বিষয়ে সংঘাত তৈরি হচ্ছে শিবসেনা ও কংগ্রেসের মধ্যে।
মহারাষ্ট্র থেকে আসা নরেন্দ্র মোদী সরকারের মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকরের মন্তব্য, ‘‘মহারাষ্ট্রের শাসক জোট ক্ষমতা ধরে রাখতেই ব্যস্ত। দুর্ভাগ্য, এখন শিবসেনাই বালসাহেব ঠাকরেকে আর ‘হিন্দু হৃদয়সম্রাট’ বলে না।’’ ইন্দিরাকে নিয়ে সঞ্জয় রাউতের মন্তব্যে গাঁধী পরিবারের ক্ষোভের বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয় উদ্ধবকে। যে সঞ্জয় রাউত এ যাবৎ বুক চাপড়ে বলে আসতেন, যে কথা বলে ফেলেছেন, তা ফেরত নেন না। তাঁকেও কথা গিলতে হয়েছে।
বিজেপি নেতাদের বক্তব্য, শরদ পওয়ারের মতো ব্যক্তিত্ব মাঝে রয়েছেন বলেই মহারাষ্ট্রের শাসক জোট টিকে রয়েছে। তা না হলে সেনাও বুঝছে, কংগ্রেসের সঙ্গে ঘর করা কত কঠিন! রাউতকে ইন্দিরা সম্পর্কে মন্তব্য প্রত্যাহার করে নিতে হচ্ছে। কিন্তু রাহুল গাঁধী এখনও পর্যন্ত সাভারকর নিয়ে মন্তব্য প্রত্যাহার করেননি। গত কাল দিল্লিতে রাহুলের সঙ্গে বৈঠক করেন আদিত্য ঠাকরে। কিন্তু রাহুলের আপত্তিতে এখনও পর্যন্ত উভয়ের কোনও ছবি প্রকাশ করা হয়নি।
প্রশ্ন হল, সরকার গড়ায় বিজেপি আগ্রহী হলেও উদ্ধব কি রাজি? কংগ্রেস ও এনসিপি কি তা করতে দেবে? কংগ্রেস নেতারা বলছেন, বিজেপির স্বপ্নপূরণ হবে না। মহারাষ্ট্রের সরকার পাঁচ বছরই চলবে। তাঁদের সাফ কথা, কংগ্রেস-এনসিপির সঙ্গে থেকে উদ্ধব পাঁচ বছরের জন্য মুখ্যমন্ত্রিত্বের গদি পাচ্ছেন। বিজেপি তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী পদ ছাড়লেও বড়জোর আড়াই বছরের জন্য। কোনটাতে বেশি লাভ শিবসেনার? বিজেপির যুক্তি, আদর্শ জলাঞ্জলি দিয়ে ক্ষমতা? কোনও একটা সিদ্ধান্তে আসতে হবে শিবসেনাকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy