চিনা পার্টির শতবর্ষে শি চিনফিং। ছবি পিটিআই।
চিনের সঙ্গে সম্পর্কে স্থায়ী ক্ষত তৈরি করেছে গত বছরের গালওয়ান উপত্যকায় রক্তপাত। পাশাপাশি, পশ্চিমের সুরে সুর মিলিয়ে ভারত কোভিডকে ‘চিনা ভাইরাস’ বলেনি ঠিকই, তবে চিন-বিরোধিতায় মোদী সরকারও সুর মেলাতে বাধ্য হয়েছে বলে মনে করছেন কূটনীতিকরা। গত কাল চিনা কমিউনিস্ট পার্টির শতবর্ষ পূর্তিতে, বিজেপির তরফ থেকে কোনও শুভেচ্ছাবার্তা এখনও পাঠানো হয়নি বলে খবর। এমনকি কংগ্রেসও ঘরোয়া রাজনীতির কথা মাথায় রেখে শি চিনফিং-এর দলকে শুভেচ্ছা পাঠানো থেকে বিরত থেকেছে।
শি-এর সঙ্গে ঘরোয়া আলাপে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে কখনও দেখা গিয়েছে মমল্লপুরমের প্রাচীন স্থাপত্যের মধ্যে হেঁটে যেতে। কখনও নয়নাভিরাম উহান লেকে নৌকাবিহার করতে অথবা সাবরমতী নদীতে নৌকায় দুলতে। বিদেশনীতির প্রশ্নে ব্যক্তিগত রসায়নে বিশ্বাসী মোদী বা তাঁর সরকার কি এমন ‘বন্ধু’-কে তাঁর দলের একশো বছরে (আমৃত্যু যাঁর নেতা থাকবেন শি) শুভেচ্ছা জানিয়েছেন? এই প্রশ্নের উত্তরে দুই রাষ্ট্রের স্বাভাবিক দ্বিপাক্ষিক প্রোটোকলই মনে করিয়ে দিয়েছেন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী, যার মধ্যে ব্যক্তিগত রসায়নের কোনও বাষ্পই আর নেই। তিনি বলেছেন, “আমি মনে করি না এটা কোনও সরকারি ব্যাপার, যে আমাকে উত্তর দিতে হবে।”
গত ফেব্রুয়ারি মাসে ভিয়েতনামে কমিউনিস্ট পার্টির ত্রয়োদশ কংগ্রেসে কিন্তু বিজেপি শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়েছিল। তবে, বিজেপি বিরত থাকলেও চিনা কমিউনিস্ট পার্টির বন্ধু সিপিএমের পক্ষে গত কাল দীর্ঘ চিঠি গিয়েছে শি চিনফিং-এর কাছে। দলের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি লিখেছেন, ‘সিপিএম সব সময়েই মনে করিয়ে দিতে চায় যে মার্কসবাদ এবং লেনিনবাদ এক সৃজনশীল বিজ্ঞান। এই বিজ্ঞানকে কী ভাবে আত্মীকরণ করতে হয়, চিন তার উদাহরণ।’ কোভিড পরিস্থিতির মোকাবিলার জন্য চিনকে অভিনন্দনও জানিয়েছেন ইয়েচুরি। চিঠি দিয়ে শতবর্ষে শি-র দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন সিপিআইয়ের সাধারণ সম্পাদক ডি রাজাও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy