প্রতীকী চিত্র
ধর্ষণের অভিযোগ সামনে আসায় এক বিজেপি নেতার সদস্যপদ খারিজ করে দিল দল। ওই নেতাকে ধর্ষক হিসেবে চিহ্নিত করেন ১৯ বছরের এক তরুণী। তাঁকে অপহরণ করে গণধর্ষণের পর বাড়ির সামনে ফেলে দিয়ে গিয়েছিল ধর্ষকরা। সেই ঘটনায় এক বিজেপি নেতার নাম সামনে আসতেই দ্রুত ওই নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করল বিজেপি। একটি বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, এই ধরনের অপরাধে যারা জড়িত, বিজেপিতে তাদের কোনও জায়গা নেই।
মধ্যপ্রদেশের জইতপুরের ওই প্রাক্তন নেতা বিজেপি-র ব্লকস্তরের মণ্ডল কমিটির সভাপতি ছিলেন। নাম বিজয় ত্রিপাঠী। ১৯ বছরের ওই তরুণীর অভিযোগ, বিজয় এবং আরও ৩ জন গত বৃহস্পতিবার তাঁকে রাস্তা থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। একটি লাল রঙের বড় গাড়িতে তুলে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় একটি ফার্ম হাউসে। সেখানে তাঁকে মাদক মেশানো পানীয় জোর করে খাওয়ানো হয়। চলে শারীরিক নির্যাতন। গণধর্ষণ। পরে রবিবার তাঁকে তাঁর বাড়ির সামনে অচেতন অবস্থায় ফেলে দিয়ে যায় ধর্ষকরা।
পুলিশে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই তরুণী। ধর্ষকদের প্রত্যেকেরই নাম পুলিশকে জানান তিনি। তবে এর মধ্যে একজন বিজেপি-র জইতপুরের মণ্ডল কমিটির সভাপতি বিজয়। এছাড়া বাকি ৩ জনের নাম রাজেশ শুক্ল, মুন্না সিং এবং মোনু মহারাজ। প্রত্যেকেরই বয়স ৩৫-৪০ বছরের মধ্যে।
মধ্যপ্রদেশের এই মামলায় পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অপহরণ ও ধর্ষণের মামলা দায়ের করেছে। গণধর্ষণের অভিযুক্তদের তালিকায় যে বিজেপি নেতার নাম রয়েছে, সেই খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। জানামাত্রই ব্যবস্থা নেয় বিজেপি। রবিবারই বিজয়কে দল থেকে বহিষ্কার করে দল। এর আগে উত্তরপ্রদেশের উন্নাওয়ের ধর্ষণের ঘটনায় প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সিং সেঙ্গার ধর্ষণ, খুন এবং খুনের চেষ্টার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হন। তাঁকেও দল থেকে বহিষ্কার করেছিল বিজেপি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy