মারধরে মৃত্যুর পর ভবরলাল জৈনের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ছবি সংগৃহীত
মুসলমান ভেবে মানসিক ভারসাম্যহীন এক বৃদ্ধকে খুনের অভিযোগে অভিযুক্ত বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনার দু’দিন পর তাঁকে মধ্যপ্রদেশের নিমাচ জেলা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃত ব্যক্তির নাম দীনেশ কুশওয়াহা। তাঁর স্ত্রী প্রাক্তন বিজেপি কাউন্সিলার বীণা কুশওয়াহা। দীনেশ নিজেও বিজেপি কর্মী। ঘটনার পর থেকেই তিনি নিখোঁজ ছিলেন। স্থানীয় মনসা থানার ইনচার্জ কেএন ডাঙ্গি জানায়, ধৃত বিজেপি নেতাকে খুঁজতে ৪০ সদস্যের একটি পুলিশি দল বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালায়। জেলা সদর থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে একটি বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ওই বাড়িতেই তিনি লুকিয়ে ছিলেন।
সম্প্রতি এক বৃদ্ধকে মারধর করার ভিডিয়োটি ভাইরাল হয় নেটমাধ্যমে। ওই ভিডিয়োয় দেখা যায়, বছর ৬৫-র এক বৃদ্ধকে এলোপাথাড়ি মারধর করছে এক ব্যক্তি। ওই প্রবীণের কাছে প্রথমে আধার কার্ড দেখতে চান হামলাকারী। এ-ও জিজ্ঞাসা করেন, ‘‘তোর নাম কি মহম্মদ, জাবড়া থেকে এসেছিস?’’ এর পরই ওই বৃদ্ধের গালে একের পর এক চড় মারতে দেখা যায় হামলাকারীকে। ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, আচমকা হামলায় হতভম্ব হয়ে যান ওই বৃদ্ধ। তিনি হামলাকারীকে শান্ত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু তাতে পরিস্থিতি আয়ত্তে আসেনি। হামলাকারীর বেদম প্রহারে ওই বৃদ্ধের মৃত্যু হয়। পরিবারের দাবি, ভবরলাল জৈন নামে ওই বৃদ্ধ মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। তিনি ঠিক মতো কথাও বলতে পারতেন না। পরিবারের সঙ্গে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে গিয়ে তিনি নিখোঁজ হয়ে যান। তার পরই তাঁকে মারধরের ভিডিয়ো দেখেতে পান তাঁরা। ভিডিয়োটি নিয়ে নিন্দার ঝড় উঠতেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। পুলিশ অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে। ঘটনার দু’দিন পর তাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। যদিও স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, দীনেশ নেতা নন, দলের এক জন সাধারণ কর্মী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy