বিজেপির তরফে ঘোষণা করা হয়েছে, বুধবার সন্ধ্যায় ৬টায় পরিষদীয় দলের বৈঠকে দিল্লির নতুন মুখ্যমন্ত্রী এবং মন্ত্রিসভার সদস্যদের নাম ঘোষণা করা হবে। কিন্তু তার আগেই দিল্লি সরকারের তরফে শপথের আমন্ত্রণপত্র বিলি শুরু হয়ে গেল!
দিল্লির মুখ্যসচিবের তরফে পাঠানো ওই আমন্ত্রণপত্রে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা থেকে রামলীলা ময়দানে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান শুরু হবে। উপরাজ্যপাল (লেফটেন্যান্ট গভর্নর) ভিকে সক্সেনা মুখ্যমন্ত্রী এবং অন্য মন্ত্রীদের মন্ত্রগুপ্তির শপথ পাঠ করাবেন। কিন্তু দেশের রাজধানীর পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রীর নাম নেই সেই আমন্ত্রণপত্রে।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর নাম চূড়ান্ত করতে বুধবার সকালে বিজেপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারক মঞ্চ ‘সংসদীয় বোর্ডের’ বৈঠক হয়েছে। তবে ওই বৈঠকে কী সিদ্ধান্ত হয়েছে, সে বিষয়ে নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহের দল কিছুই জানায়নি। সন্ধ্যায় পরিষদীয় দলের বৈঠকেই হতে পারে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা। সূত্রের মতে, পুরুষদের মধ্যে অরবিন্দ কেজরীওয়ালকে হারানো জাঠ নেতা প্রবেশ বর্মা এবং মহিলাদের মধ্যে বণিক সমাজের প্রতিনিধি রেখা গুপ্ত দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন। রেখা দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠনের সভাপতি ছিলেন।
এ ছাড়া জল্পনার তালিকায় রয়েছেন রোহিনী কেন্দ্র থেকে জেতা দলের প্রাক্তন প্রদেশ সভাপতি ও বিধানসভার প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা বিজেন্দ্র গুপ্ত। রয়েছেন ‘ব্রাহ্মণ মুখ’ বলে পরিচিত আরএসএস-ঘনিষ্ঠ প্রাক্তন প্রদেশ সভাপতি সতীশ উপাধ্যায়। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠনের প্রাক্তন সভাপতি, বিজেপিতে পঞ্জাবি সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি স্থানীয় নেতা আশিস সুদ দৌড়ে আছেন। সঙ্ঘের ঘনিষ্ঠ নেতা জিতেন্দ্র মহাজনকে নিয়েও আলোচনা হচ্ছে।
তবে মোদী-শাহের জমানায় বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব চমক দিয়েছেন। রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ওড়িশার মতো রাজ্যে প্রভাবশালী, পুরনো মুখদের বদলে বেছে নেওয়া হয়েছে আনকোরা, তুলনায় অপরিচিত নেতাদের। দিল্লিতেও তা হতে পারে বলে জল্পনা। প্রসঙ্গত, প্রায় তিন দশক পর দিল্লিতে ক্ষমতায় ফিরেছে বিজেপি। ৭০টি আসনের মধ্যে ৪৮টি আসনে তারা জিতেছে। অরবিন্দ কেজরীওয়ালের দল আম আদমি পার্টি (আপ) জিতেছে ২২ আসনে।