রাজস্থানের জৈসলমের, বারমেঢ়-সহ সীমান্তবর্তী কিছু এলাকায় সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসাবে ‘ব্ল্যাকআউট’ করা হয়েছে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই অনুসারে, জৈসলমেরে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে ব্ল্যাকআউট হয়েছে। বারমেঢ়ে ব্ল্যাকআউট হয়েছে রাত ৮টা নাগাদ। শনিবার রাতে সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছিল পাকিস্তানি সেনার বিরুদ্ধে। ভারতীয় সেনা রবিবার সন্ধ্যায় যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়ে দিয়েছে, ওই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে সেনা কমান্ডারদের তা প্রতিহত করতে পূর্ণ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে জৈসলেমর, বারমেঢ়ের মতো রাজস্থানের পাকিস্তান সীমান্তবর্তী কিছু এলাকায় ‘ব্ল্যাকআউট’ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
শনিবার রাতের ওই ঘটনার পর রবিবার সকাল থেকে এলাকায় জনজীবন দৃশ্যত স্বাভাবিকই রয়েছে। বাজার এলাকাও সম্পূর্ণ খোলা ছিল। উত্তর পশ্চিম রেলের যে ট্রেনগুলি শনিবার বাতিল করে দেওয়া হয়েছিল, সেগুলিও ফের চালু হয়েছে রবিবার। তবে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিকে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়ে রাখা হচ্ছে। জৈসলমের এবং বারমেঢ়— এই দুই শহরেই গত বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার রাতে ড্রোন হামলার চেষ্টা করেছিল পাকিস্তান। তবে ভারতীয় বাহিনীর নজরদারির ফলে ড্রোনগুলিকে মাঝআকাশেই ধ্বংস করা গিয়েছে। ফলে কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
আরও পড়ুন:
পাকিস্তান শনিবার রাতে সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘনের পরে ভারতের বিদেশসচিব বিক্রম মিস্রী জানিয়েছিলেন, ভারতীয় সেনা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে। কোনও ভাবে সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘিত হলে তা প্রতিহত করতে কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রবিবার দুপুরে সেনাপ্রধানও উপেন্দ্র দ্বিবেদীও একই নির্দেশ দিয়েছেন। দেশের পশ্চিম সীমান্তের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে সেনা কমান্ডারদের ‘পূর্ণ ক্ষমতা’ দিয়েছেন তিনি। স্পষ্ট করে দিয়েছেন, সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করে হামলা হলে প্রত্যাঘাতের ‘পূর্ণ ক্ষমতা’ কমান্ডারদের হাতে থাকবে।