Advertisement
E-Paper

প্রথম স্ত্রী চলে গিয়েছেন, দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তান না হওয়ায় শ্যালিকাকে বিয়ে! প্রেমিকের সঙ্গে মিলে স্বামীকে খুন তৃতীয় স্ত্রীর

পুলিশ সূত্রে খবর, ভাইয়ালালের তিনটে বিয়ে। প্রথম স্ত্রী অনেক দিন আগেই ছেড়ে চলে গিয়েছেন। প্রথম স্ত্রী ছেড়ে চলে যাওয়ায় আবার বিয়ে করেন ভাইয়ালাল। এ বার বিয়ে করেন গুড্ডি বাই নামে এক মহিলাকে।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৫:২৮
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

কম্বলে জড়ানো, বস্তায় ভরা এক প্রৌঢ়ের দেহ উদ্ধার হল মধ্যপ্রদেশের অনুপপুর জেলার সাকারিয়া গ্রামে। মৃতের নাম ভাইয়ালাল রজক। খুনের অভিযোগ উঠেছে তাঁরই তৃতীয় পক্ষের স্ত্রীর বিরুদ্ধে। শুক্রবার একটি কুয়ো থেকে ভাইয়ালালের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে খবর, ভাইয়ালালের তিনটে বিয়ে। প্রথম স্ত্রী অনেক দিন আগেই ছেড়ে চলে গিয়েছেন। প্রথম স্ত্রী ছেড়ে চলে যাওয়ায় আবার বিয়ে করেন ভাইয়ালাল। এ বার বিয়ে করেন গুড্ডি বাই নামে এক মহিলাকে। কিন্তু গুড্ডি বাইয়ের কোনও সন্তান হচ্ছিল না। এ নিয়ে ভাইয়ালাল এবং গুড্ডির মধ্যে অশান্তি লেগেই থাকত। বংশ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আবার বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন ভাইয়ালাল।

পুলিশ সূত্রে খবর, এ বার তিনি বিয়ে করেন তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রীর বোন অর্থাৎ শ্যালিকা মুন্নিকে। ভাইয়ালাল এবং মুন্নির আবার দু’টি সন্তানও রয়েছে। কিন্তু তলে তলে আবার মুন্নির সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল এলাকারই এক জমি-বাড়ির ব্যবসায়ী নায়ারণ দাস কুশওয়াহা ওরফে লাল্লুর সঙ্গে। তাঁদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিন্তু এই সম্পর্কে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছিলেন মুন্নির স্বামী ভাইয়ালাল। ফলে তাঁকে রাস্তা থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন মুন্নি এবং তাঁর প্রেমিক লাল্লু। তাঁরই এক কর্মী ধীরজ কলকে এই কাজে লাগান লাল্লু।

পুলিশ জানতে পেরেছে, ৩০ অগস্ট ভাইয়ালাল যখন ঘুমোচ্ছিলেন, রাত ২টোর সময় লাল্লু এবং ধীরজ সেখানে আসেন। তার পর লোহার রড দিয়ে ঘুমন্ত ভাইয়ালালের মাথায় একের পর এক আঘাত করেন বলে অভিযোগ। তার পর মৃত্যু নিশ্চিত করতে ভাইয়ালালের হাত-পা বাঁধেন। কম্বলে জড়িয়ে বস্তার মধ্যে ভরে বাড়ির অদূরেই একটি পরিত্যক্ত কুয়োয় ফেলে দিয়ে আসেন। পর দিন সকালে ভাইয়ালালকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন দ্বিতীয় স্ত্রী গুড্ডি। তখনই তাঁর নজর যায় কুয়োতে। উঁকি মারতেই দেখেন জলে কিছু ভাসছে। স্থানীয়দের সাহায্যে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে কুয়ো থেকে ভাইয়ালালের দেহ উদ্ধার হয়। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে ভাইয়ালালের তৃতীয় স্ত্রীর বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের কথা। সেকান থেকেই সন্দেহ হয় তদন্তকারীদের। তার পরই মুন্নিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। তখন পুলিশ গোটা বিষয়টি জানতে পারে। তার পরই মুন্নি এবং তাঁর প্রেমিককে গ্রেফতার করা হয়।

Murder
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy