ভোটের আগে এক পুলিশকর্মীকে খুনের ঘটনায় উত্তপ্ত বিহারের রাজনীতি। ক্ষোভ বাড়ছে সাধারণ মানুষের মধ্যেও। সিওয়ানে পুলিশের এক অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইনস্পেক্টরকে (এএসআই) কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল। বুধবার রাতে রাস্তার পাশ থেকে ওই এএসআইয়ের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধারের পরই এলাকাবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায়।
জানা গিয়েছে, ওই এএসআইয়ের নাম অনুরুদ্ধ কুমার। তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর পর দেহ ফেলে দিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। সিরসা নওকা টোলা গ্রামের লোকেরা এএসআইয়ের রক্তাক্ত দেহ দেখতে পেয়েই পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। পুলিশ সূত্রে খবর, এএসআই অনিরুদ্ধ বুধবার রাতে সাধারণ পোশাকে বেরিয়েছিলেন। সন্দেহ করা হচ্ছে, তাঁকে একা পেয়ে দুষ্কৃতীরা ঘিরে ফেলেন। তার পর ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়। এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, খুনের ধরন দেখে সন্দেহ করা হচ্ছে, পরিকল্পনা করেই এএসআইকে খুন করেছে দুষ্কৃতীরা।
এএসআইয়ের খুনের ঘটনায় কয়েকটি দল গঠন করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনাস্থল এবং তার আশপাশের এলাকায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে। সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা। পুরনো কোনও শত্রুতা, না কি এই খুনের সঙ্গে অন্য কোনও ঘটনা জড়িত, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে পুলিশ সূত্রে খবর। এই ঘটনায় সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। পাশাপাশি ক্ষোভও ছড়াচ্ছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি জোরালো হচ্ছে। আর কয়েক দিন বাদেই ভোট। তার আগে এক পুলিশকর্মীর এই হক্যাকাণ্ড ঘিরে রাজ্য রাজনীতি সরগরম হয়ে উঠেছে। বিরোধী দল রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে নীতীশ কুমারের সরকারের বিরুদ্ধে আঙুল তুলতে শুরু করেছে।
প্রসঙ্গত, গত মার্চে আরারিয়া এবং মুঙ্গেরে পর পর পুলিশের উপর হামলা এবং পুলিশকর্মী খুনের অভিযোগ ওঠে। আরারিয়ায় এক এএসআইকে পিটিয়ে খুন করা হয়। তার পর মুঙ্গেরেও আরও এক এএসআইকে খুনের অভিযোগ ওঠে।