টানা কয়েক দিন ধরে জ্বর কমছিল না। নিয়ে যাওয়া হয়েছিল স্থানীয় এক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। সেখানে ইনজেকশন দেওয়ার পর সুস্থ হয়ে ওঠার বদলে মৃত্যু হল কিশোরের। শনিবার উত্তরপ্রদেশের গ্রেটার নয়ডায় ঘটনাটি ঘটেছে। খবর ছড়িয়ে পড়তেই সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ এনে সরব হয়েছেন কিশোরের পরিবার ও স্থানীয়েরা। শনিবার দুপুর থেকে পুলিশ কমিশনারের দফতরের বাইরে বিক্ষোভও দেখিয়েছেন তাঁরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত কিশোরের নাম রজত ভাটি (১৫)। রজতের পরিবার হাপুরের নাগলা গ্রামের বাসিন্দা। গত ৪ অক্টোবর থেকে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে রজত। সঙ্গে কাঁপুনি দিয়ে প্রবল জ্বর। ছেলেকে নিয়ে দ্রুত জারছা থানার দাদরির একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায় রজতের পরিবার, যেখানে তাকে পর পর দু’টি ইনজেকশন দেওয়া হয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, ইনজেকশন দেওয়ার পর পরই রজতের শরীর ক্রমশ নীল হয়ে যেতে শুরু করে। পরিস্থিতির আরও অবনতি হওয়ায় তাকে জরুরি চিকিৎসার জন্য অন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, কিন্তু সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন:
এর পরেই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বাইরে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন গ্রামবাসীরা। কিন্তু অভিযোগ, সিএমও-র কাছে অভিযোগ জানালেও কোনও সাড়া মেলেনি। এর পর পুলিশ কমিশনারের দফতরের বাইরেও দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে। ওই ডাক্তারের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে নিহতের পরিবার। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকেই ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্তৃপক্ষ ও কর্মীরা পলাতক। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, অপরাধ প্রমাণিত হলে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।