গুজরাতের অহমদাবাদে বিমান দুর্ঘটনায় শতাধিক দেহ উদ্ধার হয়েছে। এয়ার ইন্ডিয়ার দুর্ঘটনাগ্রস্ত বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিমানটি বৃহস্পতিবার সকালে দিল্লি থেকে অহমদাবাদে এসেছিল। দুপুরে অহমদাবাদ থেকে লন্ডনের গ্যাটউইকের উদ্দেশে রওনা হতে না হতেই ভেঙে পড়ে সেই বিমান। গত এক সপ্তাহে ওই বিমানটি ফ্রান্স, জার্মানি-সহ বিভিন্ন দেশে ঘুরেছে।
গত ৫ জুন দিল্লি থেকে ফ্রান্সের প্যারিসে গিয়েছিল বিমানটি, তার পর ফিরেও আসে। ৬ জুন দিল্লি থেকে জার্মানির ফ্র্যাঙ্কফুর্টে গিয়েছিল সেটি। সেই দিনই আবার ফিরে আসে দিল্লিতে। ৮ জুন বিমানটি দিল্লি থেকে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে যায় এবং ফিরে আসে। ৯ জুন দিল্লি থেকে জাপানের টোকিয়ো যায় বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার। টোকিয়ো থেকে ফেরে পরের দিন, ১০ জুন। গত বুধবার (১১ জুন) ফের দিল্লি থেকে প্যারিসে যায় সেটি। বুধবার বেশি রাতের দিকে প্যারিস থেকে ফিরে আসে দিল্লিতে।
বৃহস্পতিবার সকালেই এআই ৪২৩ হয়ে দিল্লি থেকে অহমদাবাদে আসে বিমানটি। দুপুর ১২টার কিছু আগে অহমদাবাদ বিমানবন্দরে পৌঁছায়। এর পরে এআই ১৭১ হয়ে ওই বিমানটিই আবার অহমদাবাদ থেকে লন্ডনের গ্যাটউইক বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা দেয়। দুপুর ১টা ৩৮ মিনিটে অহমদাবাদ থেকে উড়ানের কিছু ক্ষণের মধ্যেই সেটি ভেঙে পড়ে গুজরাতের মেঘানিনগরে একটি ছাত্রাবাসে। গত এক সপ্তাহে বিমানটি একাধিক দূরপাল্লার সফর করেছে।
আরও পড়ুন:
দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানে মোট ২৪২ জন ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ২৩২ জন যাত্রী এবং ১০ জন ক্রু সদস্য। সকলেরই মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত শতাধিক দেহ উদ্ধার হয়েছে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ইতিমধ্যে গুজরাতে পৌঁছে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কী ভাবে বিমানটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ল, তা তদন্ত করে দেখবে এয়ারক্র্যাফ্ট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (এএআইবি)। দুর্ঘটনাগ্রস্ত ওই বিমানের ‘ব্ল্যাকবক্স’-এ থাকা তথ্য হাতে এলে দুর্ঘটনার সম্ভাব্য কারণ জানা যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।