দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল। ফাইল চিত্র।
ভারত-চিন সংঘাতের আবহে চিনের বিরুদ্ধে এ বার সুর চড়ালেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল। রবিবার তিনি দেশবাসীকে চিনের দ্রব্য বয়কট করার আহ্বান জানালেন। এর আগে চিনের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য দেশের সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়েছিলেন আপ প্রধান। রবিবার আরও এক ধাপ এগিয়ে চিনের পণ্য বয়কটের ডাক দিলেন কেজরী।
নয়াদিল্লিতে আপের জাতীয় পরিষদের বৈঠকে দেশের দারিদ্র, বেকারত্ব, মুদ্রাস্ফীতির মতো গুরুতর বিষয়ের পাশাপাশি সীমান্তে চিনা আগ্রাসন নিয়েও আলোচনা চলছিল। বৈঠকে আপের সকল জনপ্রতিনিধির সঙ্গেই উপস্থিত ছিলেন আর এক আপশাসিত রাজ্য পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান।
আপের এই বৈঠকে কেজরীওয়াল গত ৯ ডিসেম্বরের ভারত-চিন সীমান্ত সংঘাত প্রসঙ্গে বলেন, “গত কয়েক বছর ধরেই চিন আমাদের নানা ভাবে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। আমাদের সাহসী সেনা লড়াই এবং আত্মত্যাগের মাধ্যমে দেশকে রক্ষা করছেন।” একই সঙ্গে চিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক রাখার প্রশ্নে কেন্দ্রীয় সরকারেরও সমালোচনা করেছেন। তাঁর অভিযোগ, চিন দেশের এলাকা দখল করে নিলেও কেন্দ্রের বিজেপি সরকার তাদের পুরষ্কৃত করছে।
পরিসংখ্যান তুলে ধরে খড়্গপুর আইআইটির প্রাক্তনী এই রাজনীতিকের দাবি, চিনের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যের পরিমাণ উত্তরোত্তর বাড়িয়ে যাচ্ছে দেশের সরকার। চিনের সঙ্গে যাবতীয় বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করলেই চিন ‘জব্দ’ হবে বলে দাবি তাঁর। এ প্রসঙ্গেই ভারতবাসীর উদ্দেশে তাঁর বার্তা, “চিনের সস্তা জিনিসের তুলনায় ভারতে তৈরি জিনিস গুণগত মানে অনেক ভাল। তাই পয়সা একটু বেশি লাগলেও আমাদের দেশের জিনিসই আমাদের ব্যবহার করা উচিত।”
চিনের দ্রব্য বয়কট করার দাবি এই প্রথম উঠছে এমন নয়। বরং বিজেপি নেতাদের অনেকেই বার বার এই দাবি তুলেছেন। কিন্তু বিজেপি ‘বিরোধী’ কেজরীওয়ালের মুখে এই চড়া চিন বিরোধিতার সুরের মধ্যে রাজনীতির অঙ্ক খুঁজে পাচ্ছেন কেউ কেউ। একদা রাজনীতিকে দুর্নীতিমুক্ত করার ডাক দিয়ে ক্ষমতায় আসা কেজরীওয়াল রবিবারই জানিয়েছেন, তাঁর দল দেশপ্রেমকে সবার উপরে রাখে। তাঁর চিন-মন্তব্য নিয়ে বিজেপির তরফে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy