প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান বিবেক দেবরায়ের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের দাবি তুললেন বিএসপি নেত্রী মায়াবতী। স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে বিবেক দেবরায় এক নিবন্ধে সংবিধানের আমূল বদলের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। তার পরে কংগ্রেস, আরজেডি অভিযোগ তোলে, কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার ভীমরাও অম্বেডকরের তৈরি সংবিধান বদলাতে চাইছে। এতে অম্বেডকরের অনুগামী দলিত ভোটব্যাঙ্কেও বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে আশঙ্কা করে মোদী সরকার বৃহস্পতিবার জানিয়েছিল, বিবেকের মত তাঁর ব্যক্তিগত। তিনি যা বলেছেন, তা মোদী সরকার বা প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক উপদেষ্টা পরিষদের মত নয়। কিন্তু আজ দলিত নেত্রী মায়াবতী অভিযোগ তুলেছেন, নতুন সংবিধানের পক্ষে সওয়াল করাটা বিবেক দেবরায়ের এক্তিয়ার বহির্ভূত। কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত অবিলম্বে এ বিষয়ে নজর দিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা। যাতে ভবিষ্যতে অন্য কেউ এই সব অবান্তর কথা বলার সাহস না পায়।
বিবেক লিখেছিলেন, ১৯৩৫ সালের ভারত সরকার আইনের ভিত্তিতে তৈরি বর্তমান সংবিধানও ব্রিটিশদের উত্তরাধিকার। সংবিধানে ছোটখাটো সংশোধনের বদলে বর্তমান সময়ের প্রয়োজনের কথা ভেবে সংবিধানের আমূল বদল করা উচিত। মোদী সরকার তাঁর বক্তব্য থেকে দূরত্ব তৈরির পরে বিবেকবাবু যুক্তি দেন, তিনি আগেও এ বিষয়ে লিখেছেন। আগেও একই মত প্রকাশ করেছেন। এ ক্ষেত্রে তাঁর ব্যক্তিগত মতামত প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক উপদেষ্টা পরিষদের মত হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছিল।
সুপ্রিম কোর্টের প্রবীণ আইনজীবী সঞ্জয় হেগড়ের বক্তব্য, ‘‘দেবরায় এখন টের পাচ্ছেন, গুলি ছোড়ার পরে আরএসএস গডসে-কে পরিত্যাগ করেছিল।’’ সিপিএমের রাজ্যসভা সাংসদ জন ব্রিট্টাসের প্রশ্ন, ‘‘যদি তিনি ব্যক্তিগত মতামত জানান, তা হলে ওই নিবন্ধে তাঁর নামের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যানের পরিচিতি দেওয়া রয়েছে কেন? বিবেক নতুন সংবিধান চান। তাঁর মূল সমস্যা সংবিধানের মূল কাঠামো নিয়ে, যেখানে সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক ইত্যাদি শব্দ রয়েছে।’’ মায়াবতীর বক্তব্য, সকলে মিলে এর বিরোধিতা করতে হবে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)