নীরজ বিষ্ণোই ফাইল চিত্র ।
‘বুল্লি বাই’ অ্যাপ বানানোর মূলচক্রী ২১ বছরের নীরজ বিষ্ণোইকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ। বৃহস্পতিবার অসমের যোরহাট থেকে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। কিন্তু বিটেক ছাত্র নীরজ ছাত্র হিসেবে কেমন? উত্তর মিলল তাঁর অধ্যাপকদের কাছে থেকে। তাঁদের দাবি, নীরজ এক জন বুদ্ধিমান এবং মেধাবী ছাত্র হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। নীরজের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল বলেও মনে করতেন তাঁর অধ্যাপকরা। বৃহস্পতিবার এমনই জানিয়েছেন তদন্তকারী এক পুলিশকর্তা।
নীরজ ভিআইটি ভোপাল ক্যাম্পাসের ছাত্র। মধ্যপ্রদেশের সিহোর জেলায় তাঁর কলেজ যা ভোপালের মূল শহর থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
কিন্তু কখনই নিজের ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ক্লাস করেননি নীরজ। সিহোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) সমীর যাদব জানান, নীরজ বিটেক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। এখনও পর্যন্ত তিনি শুধুমাত্র অনলাইন ক্লাসেই অংশ নিয়েছিলেন। করোনা অতিমারির আবহে দেশ জুড়ে স্কুল-কলেজ বন্ধ। সেই কারণেই অনলাইনে ক্লাস হচ্ছে। কলেজ কর্তৃপক্ষের মতে তিনি এক জন মেধাবী ছাত্র।
‘বুল্লি বাই’ অ্যাপটিতে সম্মতি ছাড়াই নিলামের জন্য বেশ কয়েক জন মুসলিম মহিলার ছবি আপলোড করার অভিযোগ উঠেছিল নীরজের বিরুদ্ধে। মুম্বই পুলিশ এই মামলায় তিন জনকে আগেই গ্রেফতার করেছিল। প্রধান অভিযুক্ত ১৮ বছর বয়সি শ্বেতা সিংহকেও গ্রেফতার করে মুম্বই পুলিশ। এ ছাড়াও অভিযুক্ত ২১ বছর বয়সি ময়াঙ্ক রাওয়ালকে বুধবার ভোরে উত্তরাখণ্ড থেকে এবং বিশালকুমার ঝা-কে সোমবার বেঙ্গালুরু থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
‘বুল্লি বাই’ মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনে নিলামের জন্য শত শত মুসলিম মহিলাকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল এবং অনুমতি ছাড়াই তাঁদের ছবি ব্যবহার করা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, গত বছর ‘সুল্লি ডিল’ নামক একই ধরনের একটি অ্যাপেও মুসলিম মহিলাদের ছবি এবং নাম নিলামের জন্য তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy