Advertisement
E-Paper

লালা টাউন বোর্ডের সভা ডাকার দাবি

টাউন কমিটি ভেঙ্গে যাওয়ায় মাঝপথে স্তব্ধ হয়ে পড়েছে লালা শহরের উন্নয়ন। বোর্ডের সভাপতি ক্ষমতা হারানোয় বর্তমানে লালার সার্কেল অফিসার মধুমিতা নাথ টাউন কমিটির দায়িত্বে রয়েছেন। কিন্তু এই অচলাবস্থায় কোন উন্নয়ন মূলক কাজ তো দূরের কথা থমকে গিয়েছে দৈনন্দিন কাজই। বোর্ডের আগামী সভা কবে হবে, কবেই বা নতুন বোর্ড সভাপতি নির্বাচিত করে স্বাভাবিক কাজকর্ম শুরু হবে তাও খুব স্পষ্ট নয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৪:০৮

টাউন কমিটি ভেঙ্গে যাওয়ায় মাঝপথে স্তব্ধ হয়ে পড়েছে লালা শহরের উন্নয়ন। বোর্ডের সভাপতি ক্ষমতা হারানোয় বর্তমানে লালার সার্কেল অফিসার মধুমিতা নাথ টাউন কমিটির দায়িত্বে রয়েছেন। কিন্তু এই অচলাবস্থায় কোন উন্নয়ন মূলক কাজ তো দূরের কথা থমকে গিয়েছে দৈনন্দিন কাজই। বোর্ডের আগামী সভা কবে হবে, কবেই বা নতুন বোর্ড সভাপতি নির্বাচিত করে স্বাভাবিক কাজকর্ম শুরু হবে তাও খুব স্পষ্ট নয়। পরবর্তী বৈঠক সম্পর্কে এর আগেও মধুমিতা দেবী জানিয়েছিলেন, জেলাশাসক ঠিক করবেন। ভদ্রমহিলার এক কথা। আজও ওই একই কথা।

টাউন কমিটি এ ভাবে ঝুলে থাকায় সমস্যায় পড়েছেন শহরের মানুষ। এ দিকে, অনাস্থায় পরাজিত হওয়ার পর কার্যত এক ঘরে হয়ে আছেন টাউন কমিটির প্রাক্তন সভাপতি বিজয়লক্ষ্মী দেবনাথ। এই অবস্থায় শীঘ্রই টাউন কমিটির নতুন সভাপতি মনোনীত করে বোর্ড পুর্গঠনের দাবিতে সরব হয়ে উঠেছেন বোর্ডের সদস্যরা। অনাস্থার পক্ষে থাকা আট পুরসদস্য গত ৭ ডিসেম্বর হাইলাকান্দির জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করে দ্রুত বোর্ডের সভা ডাকার দাবি জানিয়েছেন। মজার ব্যাপার হচ্ছে বিজয়লক্ষ্মীর বিরোধী শিবিরের সদস্যরা কংগ্রেস-বিজেপি বিভেদ ভুলে এক জোট হয়ে আছেন। উভয় দলের সদস্যরা এক সঙ্গে মিলে বোর্ড গঠনের দাবী জানালেও আগামী দিনে কোন দল বোর্ড গঠন করবে তা এখনও মোটেই স্পষ্ট নয়।

দশ সদস্যের লালা টাউন কমিটিতে কংগ্রেসের সদস্য ছিল ৪ জন। অন্য দিকে, বিজেপির সদস্য সংখ্যা ৫। বিজয়লক্ষ্মী দেবনাথ নির্দল প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন।
পরে দেবনাথ কংগ্রেসে যোগ দেওয়ায় উভয় দলের সদস্য সংখ্যা দাঁড়ায় ৫-৫। এই অবস্থায় তৎকালীন মন্ত্রী গৌতম রায় পদাধিকার বলে টাউন কমিটির সদস্য হওয়ার সুবাদে তার সমর্থনে কংগ্রেস বোর্ড গঠন করেছিল। ২০১৫ সালের এপ্রিল মাসে লালা টাউন কমিটির বোর্ড গঠন হয়েছিল। বিজেপির আনা অনাস্থা প্রস্তাবে বিজয়লক্ষ্মীর বিরুদ্ধে কংগ্রেসের ৪ সদস্যও ভোট দেওয়ায় গত নভেম্বর মাসে ভেঙে যায় বোর্ড। অনাস্থা ভোটে কংগ্রেস পরিচালিত বোর্ডের সভাপতি বিজয়লক্ষ্মী দেবনাথ পেয়েছিলেন মাত্র দু’টি ভোট। অন্য দিকে, বিজেপির আনা অনাস্থার পক্ষে পড়েছিল আটটি ভোট।

বিজেপির আনা অনাস্থা প্রস্তাবের বিরুদ্ধে বিজেপিরই একজন সদস্য ভোট দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। ফলে অনাস্থায় বোর্ড ভাঙ্গার পর কংগ্রেস-বিজেপি উভয় দলের সদস্য সংখ্যা দাড়িয়েছে সমান সমান। এই অবস্থায় পরের বোর্ড কোন দলের দখলে যাবে তা মোটেই স্পষ্ট নয়। যদিও উভয় দলের সদস্যরা এক
সঙ্গে হাইলাকান্দির জেলাশাসক মলয় বরার সঙ্গে দেখা করে বোর্ডের সভা ডাকার আর্জি জানিয়েছেন। তবে তার আগে লালার কংগ্রেস নেতারা সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে লালা টাউন কমিটি ফের কংগ্রেসের দখলে আসবে বলে দাবি করেছেন।
এমনকি লালা টাউন কংগ্রেস মণ্ডল কমিটির সভাপতি ননীগোপাল নাথলস্কর কংগ্রেসের নেতৃত্বে লালায় পুরবোর্ড গঠন সময়ের অপেক্ষা মাত্র বলে দাবি করেছেন। এ দিকে, শুক্রবারই লালা টাউন কমিটির বিরোধী দলনেতা এবং বিজেপি সদস্য বলেন, ‘‘লালাবাসীর স্বার্থে শীঘ্রই বোর্ডের সভা ডেকে নতুন সভাপতি নির্বাচন করা একান্ত জরুরি হয়ে পড়েছে।’’ এ প্রসঙ্গে এই বিজেপি নেতা দৃঢ়তার সঙ্গে দাবিন, প্রথম বারের মতো লালা পুর বোর্ডের দখল নিতে চলেছে বিজেপি।

board president
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy