বয়স্কদের পক্ষে দৌড়ঝাঁপ করে ব্যায়াম করা সম্ভব হয় না। এ দিকে পিঠ-কোমরের ব্যথা এতটাই অসহ্য যে, ব্যায়াম করা ছাড়া গতি নেই। বয়সকালে বেশি ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়ার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মারাত্মক। অতএব ব্যায়াম যদি করতে হয়, তা হলে খুব সহজ কোনও পদ্ধতিই করতে হবে। বয়স্কদের জন্য খুবই কার্যকরী যোগাসনের একটি পদ্ধতি হল ‘সিটেড পিজিয়ন পোজ়’। চেয়ার-যোগের একটি ধরন। চেয়ারে বসেই আসনটি করা যায়। কোমর ও নিতম্বের পেশির জড়তা কাটাতে, স্লিপ ডিস্কের ব্যথা বা সায়াটিকার যন্ত্রণা থেকে রেহাই পেতে এই আসনটি খুবই উপকারী।
কী ভাবে করবেন?
১) চেয়ারে সোজা হয়ে পিঠ টানটান করে বসুন। দুই হাত থাকবে কোলের উপরে। শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক থাকবে।
২) চেয়ারে হেলান দিলে চলবে না। পিঠ সোজা রাখতে হবে।
৩) এ বার চেয়ারের সামনের দিকে খানিকটা এগিয়ে আসুন। বাঁ পা ভাঁজ করে ডান ঊরু বা হাঁটুর উপর রাখুন।
৪) সামনের দিকে কিছু ঝুঁকতে হবে। তবে পিঠ খুব বেশি বাঁকালে চলবে না।
আরও পড়ুন:
৫) এই ভঙ্গিতে ধীরে ধীরে শ্বাস নিতে ও ছাড়তে হবে। খেয়াল রাখবেন, শরীরে যেন বাড়তি চাপ না পড়ে।
৬) এ বার পা নামিয়ে নিন। একই ভাবে ডান পা ভাঁজ করে বাঁ ঊরু বা হাঁটুর উপর রেখে আসনটি অভ্যাস করতে হবে।
৭) প্রতি দিন তিন থেকে পাঁচ সেটে দুই পায়ে ৩০ সেকেন্ড করে আসনটি করতে হবে।
উপকারিতা:
পিঠ-কোমরের ব্যথা কমবে। স্লিপ ডিস্কের সমস্যা থাকলে আসনটি করতে পারেন।
কোমর ও নিতম্বের পেশির জোর বাড়বে। যাঁরা দীর্ঘ সময়ে বসে কাজ করেন, তাঁরা এই আসনটি করলে উপকার পাবেন।
সায়াটিকার ব্যথায় আরাম পাবেন।
হাঁটুর যন্ত্রণায় যাঁরা ভুগছেন, তাঁরা আসনটি করলে উপকার পেতে পারেন।
নিয়মিত আসনটি করলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন ভাল হবে, ব্যথাবেদনা কমবে।
শরীরের ভারসাম্য বাড়বে, স্নায়ুর কার্যকারিতাও বাড়বে।
রোজ অভ্যাস করলে মানসিক স্বাস্থ্যেরও উন্নতি হবে।
কারা করবেন না?
হাঁটুতে অস্ত্রোপচার হলে আসনটি করা যাবে না।
অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় আসনটি করতে হলে প্রশিক্ষকের পরামর্শ নিতে হবে।